‘ইউপিডিএফের আস্তানা’ থেকে যৌথবাহিনীর অস্ত্র উদ্ধার

Looks like you've blocked notifications!
রাঙামাটি থেকে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর উদ্ধার করা অস্ত্রশস্ত্র। ছবি : এনটিভি

রাঙামাটি সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গা এলাকায় যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, অর্থ ও পোশাক উদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আজ শুক্রবার ভোররাতে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) ‘আস্তানায়’ যৌথ অভিযানে চীনের তৈরি একটি একে-৪৭ রাইফেল, একটি চাইনিজ পিস্তল, দেশে তৈরি একটি এলজি, একটি ওয়াকিটকি, সংগঠনটির সশস্ত্র শাখার কিছু পোশাক, চাঁদা আদায়ের রশিদ, আড়াই লাখ টাকাসহ কিছু বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোররাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নানিয়ারচর সেনা জোন ও পুলিশ যৌথ এ অভিযান চালায়। বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের বামে ত্রিপুরাছড়া এলাকায় ইউপিডিএফের সশস্ত্র নেতা প্লাবন চাকমার নেতৃত্বে ১৬-১৭ জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপ ওই এলাকায় অবস্থান নেওয়ার খবরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। কিন্তু তাদের আস্তানা থেকে এসব অস্ত্র ও উপকরণ উদ্ধার করা হয়।

রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তাপস রঞ্জন ঘোষ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তিনি আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলেও জানান তিনি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পুরো ঘটনাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ এবং আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে পাহাড়ে ‘ভয়ভীতি প্রদর্শনের মহড়া’ বলে দাবি করেছেন ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা।  তিনি বলেন, ‘এসব সাজানো নাটক’ এবং এসব ঘটনা ঘটিয়ে ইউপিডিএফকে ‘সম্পৃক্ত করা’ একটি ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। আমরা এসবের নিন্দা  ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।