ইবি উপাচার্যের কার্যালয়ে হামলা, ২ কর্মকর্তা লাঞ্ছিত

Looks like you've blocked notifications!
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য আবদুস সালামের কার্যালয়ে শনিবার হামলা চালায় বহিরাগতরা। ছবি : এনটিভি

কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) উপাচার্য আবদুস সালামের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সাবেক শিক্ষার্থীসহ বহিরাগতরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ বলছে, হামলার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। ওই সময় উপাচার্য আবদুস সালাম তাঁর বাসভবনে ছিলেন।

উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী ও উপরেজিস্ট্রার আইয়ুব আলী জানান, বেলা ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুস সালামকে বাসভবনে রেখে আসেন। এরপর তিনি প্রশাসনিক ভবনের দোতলায় উপাচার্যের কার্যালয়ে যান। 

আড়াইটার দিকে হঠাৎ অন্তত ২০ জন যুবক কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন। এক যুবক একটি ফাইল ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে উচ্চস্বরে কথা বলতে থাকেন। এ সময় আইয়ুব আলী ওই যুবকদের বলেন, উপাচার্যসহ অন্য কর্মকর্তারা ফাইলের বিষয়টি দেখভাল করেন। তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। এ কথা শুনে যুবকরা কার্যালয়ের ভেতরে থাকা চেয়ার, টেবিলসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। 

এ সময় তাঁরা টেবিলে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ফাইল মেঝেতে ছুড়ে ফেলেন। একপর্যায়ে তাঁকে মারধরের চেষ্টা করা হয়। পরে উপরেজিস্ট্রার মোল্লা শফিকুল ইসলাম তাঁদের ঠেকানোর চেষ্টা করলে দুজনকেই গালাগাল করা হয় এবং হুমকি দেওয়া হয়। 

এর কয়েক মিনিট পর হামলাকারীরা ওই ভবন থেকে চলে যান। পরে আইয়ুব আলী বিষয়টি উপাচার্যকে জানান।

হামলাকারীদের প্রায় সবাইকে চেনেন জানিয়ে আইয়ুব আলী বলেন, ‘তাঁরা এক সময় ক্যাম্পাসে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং আগের উপাচার্যের মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয়ে দিন হাজিরায় শ্রমিকের কাজ শুরু করেছিলেন। বর্তমান উপাচার্য যোগদানের পর সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাঁরা চাকরির দাবিতে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে আসা-যাওয়া করতেন।’

উপাচার্য আবদুস সালাম বলেন, ‘আমার কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। যাঁরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ নন। তাঁরা বহিরাগত। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বৈঠক করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননূর জায়েদ বলেন, ‘বহিরাগত ও সাবেক শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে বলে মুঠোফোনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’