ইভিএম হলেও জাপা নির্বাচনে যাবে : রওশন এরশাদ

Looks like you've blocked notifications!
রওশন এরশাদ। ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ বলেছেন, জাতীয় পার্টি (জাপা) একটি নির্বাচনমুখী দল। আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে হলেও  জাতীয় পাটি সেই নির্বাচনে অংশ নেবে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিজয়নগরের একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম রওশন এরশাদ এক  ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন।

রওশনের এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পাটি তার দুর্দিনেও  নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। আগামী নির্বাচনেও সবাইকে নিয়েই ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। দেশের জনগণ আজ ফোর-জি, ফাইভ-জি ব্যবহার করছে। তথ্য প্রযুক্তিতে দেশে এগিয়ে যাচ্ছে। ইভিএম-এ ভোট হলে তাতে ক্ষতি নেই। আমরা ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।’

আগামী ২৬ নভেম্বর জাতীয় পার্টির জাতীয় সম্মেলন সফল করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পাটির দুর্দিনে যেসব নেতাকর্মীরা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে আগলে রেখে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, আজ তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। আগামী কাউন্সিলে সকল নেতাকর্মীদের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’

রওশন এরশাদ বলেন, ‘গত কাউন্সিলে একতরফাভাবে জাতীয় পাটির গঠনতন্ত্র সংশোধন সংযোজন করা হয়েছে, যা খুব দুঃখজনক। গঠনতন্ত্রে এমন কিছু ধারা সংযোজন করা হয়েছে, যা দিয়ে একতরফাভাবে দলের নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়।’ তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচনে জয়লাভ করেন- তাঁরা বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। যারা হেরে যান, তারা বলেন, কারচুপি হয়েছে। আমি মনে করি, বাংলার মানুষ যাদের ভোট দেবে, তারাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। দেশের জনগণ জাতীয় পার্টির সঙ্গে আছে এবং ভোট দেবে। 

বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, ‘আমি সুস্থ। আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি শিগগিরই দেশে ফিরব।’

সংবাদ সম্মেলনে বেগম রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব ও দশম জাতীয় সম্মেলনের সদস্য সচিব গোলাম মসিহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে দেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, এস এম এম আলম, কাজী মামুনুর রশীদ, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন, সাবেক সংসদ সদস্য জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, সাবেক সংসদ সদস্য এম এ গোফরান, ফখরুজ্জামান জাহাংগীর প্রমুখ।