ইশরাক-তাবিথকে দেখে বন্ধ হয়ে গেল ফেরি চলাচল
বরিশালে প্রতিবাদ সভায় যোগ দিতে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আউয়াল গাড়িবহর নিয়ে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছান। এ সময় রহস্যজনক কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। তবে কী কারণে এ দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল তা বলতে রাজি হয়নি ঘাট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, দীর্ঘক্ষণ ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় হাজারো যাত্রী ও যানবাহন চালককে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
জানা যায়, আজ সকাল ৬টার দিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরি ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক ছিল। সকাল ৭টার দিকে বরিশালে সমাবেশে যোগ দিতে অর্ধশতাধিক গাড়িবহর নিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসেন ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আউয়াল। প্রায় দুই ঘণ্টা ঘাটে অপেক্ষা করে ৯টার দিকে কোনো ফেরি না পেয়ে তাবিথ আউয়াল সি-বোটে এবং ইশরাক হোসেন নেতাকর্মীদের নিয়ে এমভি মাসুম-২ নামের লঞ্চে করে পদ্মা পাড়ি দেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে আবারও ফেরি চালু হয়।
স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘ইশরাক-তাবিথ ঘাটে আসার খবরেই ওপার বাংলাবাজার ঘাট থেকে কোনো ফেরিই ঘাটে আসেনি। শিমুলিয়া ১ ও ২ নম্বর ঘাটে নোঙর করা দুই-একটি ফেরি থাকলেও সেগুলোও চালু হয়নি। নেতাকর্মীদের সমাবেশে যাওয়া বিঘ্ন করতে, যেন তারা পদ্মা পাড়ি দিতে না পারে সে জন্যই ফেরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার বিআইডাব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই, কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’
এদিকে, পদ্মা পাড়ি দেওয়ার আগে ইশরাক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপট সবারই জানা। দেশে গণতন্ত্র নেই, ভোটের অধিকার নেই। বর্তমান সরকারের দুর্নীতি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যে অপকর্ম রয়েছে তা আন্তর্জাতিক ও দেশীয় গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। এসব থেকে দৃষ্টি ফেরাতেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক ওনার খেতাব নিয়ে সরকার ছিনিমিনি খেলছে।’