ইসলামি বক্তার জিহ্বা কাটার চেষ্টার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

Looks like you've blocked notifications!
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চাপুইর গ্রামে আহত ইসলামি বক্তা শরীফুলের বাড়িতে তাঁকে দেখতে যান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা ও ওসি মো. আসাদুল ইসলাম। ছবি : এনটিভি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ইসলামি বক্তা জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের দাওয়াতবিষয়ক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম ভুইয়ার জিহ্বা কাটার চেষ্টা ও হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার (৫ মার্চা) রাতে শরীফুল ইসলামের চাচা মো. আব্দুল বাছির বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় মামালটি করেন।

এ ঘটনায় করা মামলায় দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় পাঁচ থেকে সাত জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহার নামীয় দুই আসামি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটিয়ারা গ্রামের রায়হান (৩০) ও বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের জাক্কু (৪৮)।

আজ সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ ঘটনার বিষয়ে জানতে আহত শরীফুলের বাড়ি সদর উপজেলার চাপুইর গ্রামে যান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা ও আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম। তাঁরা আহত শরীফুলে সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন তথ্য উপাথ্য সংগ্রহ করেন।

এ সময় আখাউড়া থানার ওসি মো. আসাদুল ইসলাম জানান, হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এজাহার নামীয় একজনকে আজ দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তার করা ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানাননি তিনি।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাতে বিজয়নগর উপজেলার দৌলতবাড়ি দরবার শরিফের মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে গভীর রাতে আখাউড়া উপজেলার আজমপুর এলাকায় হামলার শিকার হন ইসলামি বক্তা শরীফুল ইসলাম ভুইয়া। এ সময় সাত-থেকে আট জন দুর্বৃত্ত তাঁর জিহ্বার বেশিরভাগ অংশ কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে থাকা ওবায়দুল্লা (৩৪) নামে একজন আহত হন। পরে আহতাবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি নিজ বাড়ি সদর উপজেলার চাপুইর গ্রামে অবস্থান করছেন।

পরিবারের দাবি, বিভিন্ন সময় ওয়াজ মাহফিলে শিয়া অনুসারীদের নিয়ে বক্তব্য দেন ইসলামী বক্তা শরীফুল ইসলাম ভুইয়া। তাই শিয়া অনুসারীরাই এ হামলার সঙ্গে জড়িত।