ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে ট্রেনে আনন্দ নিয়ে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ
আর চার দিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে আজ বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবস হওয়ায় রাজধানী ঢাকা ছেড়ে বাড়িতে ঈদের আনন্দ করতে যাচ্ছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। আজ রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত রেলস্টেশন কমলাপুরে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আনন্দের সাথে মানুষ বাড়িতে যাচ্ছেন। তবে টিকেট না পাওয়ায় অনেকের মধ্যেই হতাশা ছিল। অনেকে টিকেট পাওয়ার আশায় আজও কাউন্টারে ভিড় জমিয়েছে। তবে না পাওয়ায় ভিন্নপথে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়া, ট্রেনের কোনো সিডিউল আজ বিপর্যয় হয়নি। আজ যথাসময়ে সবগুলো ট্রেন ছেড়ে গেছে। তবে গতকাল ঈদ যাত্রার প্রথম দিনে ট্রেন সিডিউলে বিপর্যয় হয়েছিল।
রাজশাহীতে যাচ্ছেন মুনির হোসেন। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আজ থেকে ছুটি পাওয়ায় তিনি তাঁর পরিবারের সাথে রাজশাহীতে ঈদ করতে যাচ্ছেন। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, দুপুর একটায় রাজশাহীর উদ্দেশে বনলতা এক্সপেস ট্রেন ছাড়বে। আমরা সেই ট্রেনের টিকেট কেটেছি। গতকাল দেখলাম ট্রেনের নাকি সিডিউলের বিপর্যয় ঘটেছে। আজ কী হয় দেখি।
মুনির আরও বলেন, ঢাকায় সব সময় কর্মব্যস্ত থাকি। অন্য সময় আনন্দ নিয়ে বাড়িতে যাওয়া হয় না। তবে পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মজাই আলাদা। বছরের এই সময়ে শতকষ্ট হলেও বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সাথে ঈদ করাটা বেশে তৃপ্তির।
নাবিলা নামের এক শিশু জানায়, স্কুল অনেক আগে বন্ধ হয়ে গেছে। বাবার চাকরির জন্য আজ বাড়িতে যাচ্ছি। ঈদের পরেও কয়েকদিন থাকব নানুর বাড়ি পাবনার চাটমোহরে। ট্রেনে যেতে খুব ভালো লাগে আমার। সবার সাথে ট্রেনে করে বাড়িতে গিয়ে ঈদ করবো। তাই খুব ভালো লাগছে।
এদিকে রাজশাহীগামী বনলতা এক্সপ্রেসের এক কর্মী বলেন, গতকাল সিডিউল বিপর্যয় ছিল। তবে আজ যথাসময়ে ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে। আজ সকাল থেকে দুটি ট্রেনের কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। পরের সবগুলো ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে।
চট্টগ্রামগামী যাত্রী ফারিহা আলম বলেন, ট্রেন যথাসময়ে ছাড়ায় আমরা যাত্রীরা সন্তুষ্ট । তবে ট্রেনের টিকেট কাটতে গিয়ে একটু ভোগান্তি হয়েছে। আবার অনলাইনে অনেকে ট্রেনের টিকেট কাটতে পারেনি। এখন দেখলাম বনলতা ট্রেন একবারে ঠিক সময়ে ছেড়ে দিয়েছে। আমাদেরও ট্রেন সামনে রয়েছে। বাড়ি গিয়ে ঈদ করতে পারবো, তা ভাবতেই ঈদ ঈদ লাগছে। বাসে গেলে বেশি ক্লান্ত হতে হয়। তবে ট্রেনে গেলে ক্লান্তি কম আসে ও রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামের সম্ভাবনা কম থাকে। তাই ট্রেনেই প্রথম চয়েজ।