‘ঈদের আগের রাতে ট্রেন টিকেটের চাহিদা কম’
ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রির শেষদিন কমলাপুর রেলস্টেশনের চিত্র কয়েকদিনের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন। শুরুর দিকে কিছুটা ভিড় থাকলেও দুই ঘণ্টার মধ্যে ফাঁকা হয়ে যায় টিকেট কাউন্টার। অবিক্রিত থেকে যায় ঈদের আগের রাতের টিকেট। কর্তৃপক্ষ বলছে, চাঁদ রাতের টিকেটের চাহিদা খুবই কম।
এদিকে, শিডিউল বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে আজ মঙ্গলবার শুরু হয়েছে ট্রেনে ঈদযাত্রা। একটি ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় আজ কয়েকটি ট্রেন দেরিতে ছেড়ে যায়। তবে, বাকি সব ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে ছেড়েছে।
আজ ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রির শেষদিন মঙ্গলবার দেওয়া হয় ঈদুল আজহার আগের দিন ৯ জুলাই শনিবারের টিকেট। অনেকেই সোমবার রাত থেকেই টিকেটের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন। কেউ কেউ আবার কাঙ্খিত টিকেটের জন্য টানা দুই তিন দিন লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন।
লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে এক টিকিট প্রত্যাশী বলেন, ‘আরও তিন দিন রাত তিনটার দিকে আসছি। বেলা ১১ থেকে ১২টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট পাইনি। ফলে, চলে গিয়েছিলাম। অনলাইনেও চেষ্টা করেছি, হয়নি। আজকেও রাত ৩টার দিকে আসছি। আজকে একটু চাপ কম। আশা করি পাব।’
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী বলেন, ‘৮ জুলাইয়ের টিকিটের জন্য আসছি। কিন্তু, পাইনি। গতকাল থেকে এখনও আছি। দেখি, ৯ জুলাইয়ের টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছি।’
দুদিন লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করে আরেক নারী বলেন, ‘গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কমলাপুরের এসেছি। সারা রাত এখানে ছিলাম। আজকে সকাল ৮টার দিকে টিকিট পেলাম।’
যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে বদলে যায় কমলাপুর রেলস্টেশনের চিত্র। মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে ফাঁকা হয়ে যায় টিকেট কাউন্টার।
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, ঈদের আগে ভিড় আরও বাড়বে। তবে, যেকোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আর, হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘৯ জুলাই রাতে যে ট্রেনগুলো ঢাকা থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচল করবে। এ সব আন্তঃনগর ট্রেনগুলো টিকিটের চাহিদা খুবই কম। যদিও আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা আছে।’