নির্বাচনি সহিংসতা

ঈশ্বরগঞ্জে হোটেলে হামলা, ২ স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মঙ্গলবার নির্বাচনি সহিংসতায় হোটেলে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ছবি : এনটিভি

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনি সহিংসতায় একটি হোটেলে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হোটেল মালিক এবং তাঁর ছেলেসহ আহত হয়েছেন সাত জন। হামলার ঘটনায় দুই স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতাসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের মিয়া বলেছেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আহতেরা হলেন—হোটেল মালিক সিদ্দিক মিয়া (৬২), তাঁর ছেলে সাফায়াত হোসেন (২৮), কর্মচারী রুবেল (৩৫), সোহাগ (২০), নুরুদ্দিন (৪৭), জুয়েল (৩০) ও রুবেল (১৮)।

হামলাকারীরা দোকানের ক্যাশবাক্স ভেঙে ৭০ হাজার টাকা লুট করেছে বলে অভিযোগ করেন হোটেল মালিক সিদ্দিক মিয়া।

হামলাকারী হিসেবে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন—ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মো. শরীফুজ্জামান আকন্দ রানা (৪৫), ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আ. গণি (৪২), মো. বাবু মিয়া, মো. ইমন (২২), মো. রানা (২৫), মো. জোবায়ের (২৩), মো. মুরাদ মিয়া (২৬), মো. শামীম (২৮), মো. জহিরুল ইসলাম (২২), মো. নাজমুল (২২) ও মো. রায়হান (২১)।

দোকান মালিক সিদ্দিকের অভিযোগ—মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঈশ্বরগঞ্জ বাজারে ১০ থেকে ১১ জন যুবক দা, লাঠি, হকিস্টিক ও লোহার রড নিয়ে তাঁর হোটেলে হামলা চালিয়ে হোটেলের আসবাবপত্রে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। মারধর করে আহত করা হয় হোটেল মালিক এবং তাঁর ছেলেকে। বাধা দিতে গেলে পাঁচ কর্মচারীকেও বেধড়ক মারপিট করে আহত করে হামলাকারীরা।

ওসি আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ‘সোমবার নির্বাচনের দিন খাবার দিতে দেরি করায় কথা কাটাকাটিসহ একদফা হামলা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসে হোটেলে ফের হামলা চালায় যুবকেরা। অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’