উন্নত দেশ গড়তে ব্যবসা গতিশীল করতে হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ন্যাশনাল ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কমিটির (এনটিএফসি) ৬ষ্ঠ সভায় আজ বুধবার বক্তব্য দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ছবি : এনটিভি

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশ উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের জন্য ৮ থেকে ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। এজন্য পণ্য ও সেবা উৎপাদনের পাশাপাশি এগুলোর মান উন্নত করতে হবে। আমাদের ২০২৬ সাল থেকে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্য ক্ষেত্রে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বুধবার ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ন্যাশনাল ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কমিটির (এনটিএফসি) ৬ষ্ঠ সভায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য আমাদের তৈরি হতে হবে। আমাদের হাতে সময় অনেক কম। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া আমাদের হাতে কোনো বিকল্প নেই। এজন্য বাণিজ্য সহজ করতে হবে, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে।

বিশ্ববাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাবার জন্য ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন রোডম্যাপ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের আমদানি-রপ্তানি ও বিনিয়োগ কার্যক্রমকে আরও সহজ ও গতিশীল করতে হবে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (এনএসডব্লিউ) বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি এবং ট্রানজিটের ক্ষেত্রে ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করা প্রয়োজন। সীমান্ত বাণিজ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে আধুনিক করার বিকল্প নেই। প্রয়োজনে বিদ্যমান বাণিজ্যনীতি আইন সংস্কার করতে হবে।

উল্লেখ্য, ন্যাশনাল ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কমিটির (এনটিএফসি) সভা বছরে একবার হয়। এর আগে ৫টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজকের সভায় দেশে ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ করতে পণ্যের গুণগতমান পরীক্ষা, কৃষিপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রক্রিয়াকরণ, বিভিন্ন বন্দরে আমদানি ও রপ্তানি সহজ ও দ্রুতকরণ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে পরিবহণ সহজ, সিঙ্গেল উইন্ডো কার্যকর, আমদানি পণ্য দ্রুত খালাস, রপ্তানি পণ্যের দ্রুত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা, সমুদ্রবন্দর, স্থলবন্দর ও আকাশপথের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আধুনিকায়ন করা, কানেকটিভিটি সহজ করা, পণ্য পরিবহণে রেলপথকে আধুনিক ও সহজ করা, রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন বিষয়ে করণীয় নিয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় বিগত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সকল কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা ও অগ্রগতি পর্যালোচনার সুবিধার জন্য বছরে একাধিক সভা করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন ইআরডি সচিব শরিফা খান, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড টেরিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সরকারের সচিব) মাহফুজা আক্তার, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জাফর উদ্দিন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।