উপজেলা আ.লীগ সভাপতিকে শোক দিবসের কর্মসূচিতে যেতে বাধা পুলিশের!

Looks like you've blocked notifications!
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝালরচর এলাকায় আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদকে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে আর কোনো কর্মসূচিতে না যাওয়ার অনুরোধ করছেন সহকারী পুলিশ সুপার মো. সুমন মিয়া। ছবি : এনটিভি

জামালপুরের বকশীগঞ্জে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। আজ সোমবার এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় পুলিশ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের চারটি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে না গিয়ে দলীয় কার্যালয়ে ফিরে আসেন।

বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘জাতির পিতার শাহাদাতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। তাই প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে অর্ধশত মোটরসাইকেল বহর নিয়ে বের হলে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। রাস্তার প্রতিটি মোড়ে মোড়ে আমাদের পুলিশি বাধা ও তাদের জেরার মুখে পড়তে হয়। পুলিশি বাধা পেরিয়ে দুপুর ১২টার দিকে বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নে যাওয়ার পথে বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ঝালরচর এলাকায় মোটরসাইকেল বহর থামিয়ে আর কোনো কর্মসূচিতে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন সহকারী পুলিশ সুপার মো. সুমন মিয়া। এ সময় মোটরসাইকেলের লাইসেন্স ও হেলমেট না থাকায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের চারটি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে দলীয় নেতাকর্মীরা আর কোনো কর্মসূচিতে যোগ না দিয়ে উপজেলা দলীয় কার্যালয়ে ফিরে যায়।’

এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল তাঁর (নুর মোহাম্মদ) মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা হতে পারে, তাই তাঁকে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে চলাচল করতে নিষেধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গতকাল ১৪ আগস্ট রোববার রাতে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ জানান, বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় শোক দিবসের কোনো কর্মসূচিতে অংশ না নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।