উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ.লীগের সম্পাদকসহ ২০ জনকে কুপিয়ে জখম

Looks like you've blocked notifications!
পটুয়াখালীর বাউফলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবসে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি : এনটিভি

পটুয়াখালীর বাউফলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবসে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৭ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে এ সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষের সময়  উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ  সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  আবদুল মোতালেব হাওলাদারসহ কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ নেতাকর্মী ও সমর্থককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। 

আশঙ্কাজনক অবস্থায় আবদুল মোতালেব হাওলাদারসহ কয়েক নেতাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা যুবলীগনেতা অরবিন্দু জানান, দলের সাধারণ  সম্পাদক আবদুল  মোতালেব হাওলাদারের নেতৃত্ব একটি আনন্দ মিছিল আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের (জনতা ভবন) দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ উপজেলা পরিষদের গেটের  সামনে বাধা দেয়। একপর্যায়ে দলের সভাপতি সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের ভাতিজা যুবলীগ সভাপতি ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লার নেতৃত্বে কয়েকশ নেতাকর্মী এসে তাঁদের উপর অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। 

এ সময় পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ সাত থেকে আট রাউন্ট রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। উপজেলা শহরের থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় শহরে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ  থাকে।

পরে পরিস্থিতি  স্বাভাবিক  হলে আ স ম ফিরোজের নেতৃত্বে একটি বিশাল আনন্দ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

উল্লেখ, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সভাপতি আ স ম ফিরোজ, দলের সাধারণ  সম্পাদক  ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার  মেয়র জিয়াউল  হক জুয়েল আলাদা আলাদা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরমধ্যে আ স ম ফিরোজ ও আবদুল মোতালেব হাওলাদার একই স্থানে (আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে)  কর্মসূচি  ঘোষণা করেন। এরপর থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

বাউফলের ইউএনও বলেন, ‘দুই পক্ষকেই  সহাবস্থানের অনুরোধ করা হয়েছিল। তারা আমাকে কথাও দিয়েছিল শান্তিপূর্ণ  কর্মসূচি  পালন করবে। কিন্তু তারা কথা রাখেননি। আমি করজোড়ে  তাদের অনুরোধ  করেছি।’

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, এ কর্মসূচির নিরাপত্তা বিধানের জন্য শহরে বিপুল পুলিশ মোতায়ন ছিল। দুই পক্ষ মুখোমুখি হওয়ায় রাবার বুলেট ছুড়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া  হয়।