একবার ছেলের কবর জিয়ারত করে যান : প্রধানমন্ত্রীকে নিহত লিটনের মা
১৭ বছর আগের আজকের দিনে মুহুর্মুহু গ্রেনেডের বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। মানুষের আর্তনাদ আর সকাতর ছোটাছুটিতে তৈরি হয় বিভীষিকা। গোটা দেশ তখন স্তব্ধ। আজ সেই ২১ আগস্ট, নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন। ইতিহাসের ভয়াবহতম গ্রেনেড হামলার এই দিনে আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত। এদের মধ্যে ছিলেন যুবলীগনেতা লিটন মুন্সি। আজ তাঁর বাবা-মা ভালো নেই। তাঁদের আকুতি—একবারের জন্য হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন তাঁদের ছেলের কবর জিয়ারত করেন।
রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের চানপট্টি গ্রামের যুবলীগনেতা নিহত লিটন মুন্সি বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর বৃদ্ধ বাবা আইয়ুব আলী মুন্সি ও মা আছিয়া বেগম ছেলের শোকে শোকাহত। ১৭ বছর ধরে এক মুহূর্তের জন্যও ভুলতে পারেননি ছেলে হারানোর বেদনা। সুস্থ ছেলে গেল তদানিন্তন বিরোধী দলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি বিরোধী’ শান্তি সমাবেশে; ফিরে আসে লাশ হয়ে।
অশ্রুভেজা দিন কাটে আজ লিটনের বাবা-মায়ের। নিহত লিটন মুন্সির মা আছিয়া বেগম বলেন, ‘একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আজ আমরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করছি। লিটনের বাবা ও আমি দুজনেই বয়স্ক মানুষ। আমরা প্রায় সময়ই অসুস্থ থাকি। লিটনের বাবা এখন কাজ করতে পারেন না। আমিও অপারেশনের রোগী।’
আছিয়া বেগম আরও বলেন, ‘মাসে আমার ওষুধ লাগে পাঁচ হাজার ৮০ টাকার মতো; ভাতা পাই তিন হাজার টাকা। খুবই কষ্টে দিনযাপন করছি।’
লিটনের মা বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই—তিনি যেন একবারের জন্য হলেও আমার ছেলের কবর জিয়ারত করে যান।’