এলপিজির দাম আবারও বাড়িয়েছে বিইআরসি
দেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দাম আবারও বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য এক হাজার ২৫৯ টাকা থেকে ৫৪ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ৩১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এ দাম আজ ৪ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিইআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। একই দিন রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিইআরসির সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ দাম ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সচিব রুবিনা ফেরদৌসী, সদস্য মকবুল-ই-ইলাহি, আবু ফারুকসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে এলপিজি গ্যাসে কেজি প্রতি সাড়ে চার টাকা বেড়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে নভেম্বর মাসের জন্য এলপিজি মূসকসহ কেজি প্রতি ১০৪ দশমিক ৯২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৯ টাকা ৪২ পয়সা করা হয়েছে।
গত অক্টোবরে এলপিজি মূসকসহ কেজি প্রতি ৮৬ টাকা ৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০৪ দশমিক ৯২ টাকা করেছিল বিইআরসি। এর ফলে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম অক্টোবর মাসে এক হাজার ৩৩ টাকা থেকে বেড়ে এক হাজার ২৫৯ টাকা হয়। গত ১০ অক্টোবর থেকে এই দাম কার্যকর করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একইসঙ্গে বেড়েছে পরিবহণে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের দাম, যা অটোগ্যাস নামে প্রচলিত। নভেম্বর মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৫৮ দশমিক ৬৮ থেকে বাড়িয়ে ৬১ টাকা ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। লিটারে বেড়েছে দুই টাকা ৫০ পয়সা। আর গেল অক্টোবরেই বেড়েছিল আট টাকা ১২ পয়সা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সৌদি সিপি অনুসারে সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম যথাক্রমে টন প্রতি ৮৭০ এবং ৮৩০ ডলার, মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় নভেম্বরে জন্য এ নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যা অক্টোবরে ছিল যথাক্রমে প্রতি টন ৮০০ ডলার ও ৭৯৫ ডলার।
জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরামকো। এটি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপি ভিত্তি মূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করেছে বিইআরসি।