কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

Looks like you've blocked notifications!
দুদকের ফটক। ছবি : সংগৃহীত

সম্পদের তথ্য গোপন করায় কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার মামলাটি করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় কক্সবাজারের উপসহকারী পরিচালক নাছরুল্লাহ হোসাইন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দুদকে উপস্থাপন করা সম্পদের বিবরণীতে মনিরুজ্জামান সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করেন। এ ছাড়া সোয়া চার কোটি টাকা অসংগতিপূর্ণভাবে অর্জনের অভিযোগও রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে কাউন্সিলর মনিরুজ্জামানের আয়-ব্যয় খতিয়ে দেখে এ অনিয়ম ধরা পড়ে।

মনিরুজ্জামান টেকনাফ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তিনি দক্ষিণ জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা। মামলার বাদী ও দুদকের উপসহকারী পরিচালক নাছরুল্লাহ হোসাইন বলেন, অবৈধ পন্থায় সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর দুদক, প্রধান কার্যালয়ের আদেশে ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল কাউন্সিলর মনিরুজ্জামানকে সম্পদের বিবরণী দাখিল করার আদেশ দেওয়া হয়। তিনি (কাউন্সিলর) সময় চেয়ে ২০১৯ সালের ১৫ মে দুদক, চট্টগ্রাম-২ কার্যালয়ে সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন। ওই বিবরণীতে মনিরুজ্জামান ৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য দেন। কিন্তু সম্পদের বিবরণী যাচাইকালে তাঁর নামে ৪ কোটি ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৫৬ টাকার স্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান বলেন, ২০০৭ সাল থেকেই তিনি নিয়মিত আয়কর দিচ্ছেন। দুদকের সম্পদের বিবরণীতে তিনি সঠিক তথ্য লিপিবদ্ধ করেছেন। দুদক কীভাবে আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পেল, তা তিনি জানেন না।

দুদক সমন্বিত কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, মনিরুজ্জামান দুদকের কাছে ৫৮ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৬ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন। এ ছাড়া জনপ্রতিনিধি হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৪ কোটি ৩১ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন বলে তথ্য মিলেছে, যা বিভিন্ন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আরও তদন্ত হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তারও করা হতে পারে।