কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গোপসাগর উৎসব

Looks like you've blocked notifications!

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে ৮ জুন বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু বঙ্গোপসাগর উৎসব ২০২২।

আজ বুধবার (৮ জুন) সকাল পৌনে ১০টায় সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে শুরু হওয়া এই উৎসবের যৌথভাবে আয়োজন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও বেসরকারি সংস্থা সেফ বাংলাদেশ।

উৎসবে দিনভর বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে রয়েছে সৈকত পরিচ্ছন্নতা অভিযান, নীল অর্থনীতি নিয়ে সেমিনার, সৈকত ভলিবল ও সার্ফিং। এদিন সকালে লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। পরে সৈকত পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এতে সেফসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য ও পর্যটকরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মোহাম্মদ বেলাল হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান।

সাজ্জাদুল হাসান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সমুদ্র জয় করতে পেরেছি। এটা আমাদের জন্য বিশাল অর্জন। তাই এই সমুদ্রকে পরিষ্কার রাখা আমাদের সকলেরই দায়িত্ব। সমুদ্র পরিচ্ছন্নতার সাথে আমাদের সুনীল অর্থনীতির সুনিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। সমুদ্র পরিচ্ছন্ন থাকলে সমুদ্র দর্শনার্থীদের মনেও পরিচ্ছন্নতা সৃষ্টি হবে।'

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের অবসরপ্রাপ্ত সচিব রিয়ার এ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম বলেন, 'সমুদ্রসৈকতের যত্রতত্র ফেলা ময়লার বিরাট একটা অংশ সাগরে মিশে গিয়ে মাছ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয়। একসময় এরা খাদ্য না পেয়ে অন্য জায়গায় চলে যায়। ফলে সামুদ্রিক সম্পদে আমার প্রভাব পড়ে। সমুদ্রকে সুন্দর ও সু্স্থ রাখতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই। আমরা যথাসম্ভব সমুদ্রকে পরিচ্ছন্ন রাখব। এটি আমাদের বিশাল সম্পদ। আমাদের সম্পদ আমাদের রক্ষা করা দায়িত্ব ও কর্তব্য।'

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্সের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য অধ্যাপক মো. কাউসার আহাম্মদ, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আলি কদর, নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।