কক্সবাজার রুটে সেপ্টেম্বরে চলবে ট্রেন : রেলপথমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন আজ মঙ্গলবার দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনের সময় নির্মাণাধীন কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন পরিদর্শন করেন। ছবি : এনটিভি

রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন চালু হবে। আজ মঙ্গলবার (১৬ মে) দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনের সময় নির্মাণাধীন কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন বিল্ডিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ ঘোষণা দেন মন্ত্রী।

রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ‘সাশ্রয়ী, নিরাপদ আরামদায়ক হিসেবে রেলকে গড়ে তোলার জন্য মন্ত্রণালয় ও রেল‌ওয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে দোহাজারী থেকে কক্সবাজারে সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্তমান সরকারের দশটি অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে দুটি প্রকল্প রেলওয়েতে চলমান। একটি হচ্ছে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ এবং অন্যটি দোহাজারী-কক্সবাজার নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প।’

মন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারে ট্রেনে করে আসার জন্য সারা দেশের মানুষ ভীষণ আগ্রহী হয়ে আছে। কাজের সুবিধার জন্য প্রকল্প দুই ভাগে বিভক্ত। লট ১ ও ২। সার্বিকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে আগামী আগস্টের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে সেপ্টেম্বরে উদ্বোধনের জন্য তৈরি করা।’

রেলপথমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের সবার জন্য গর্বের একটা বিষয় কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন বিল্ডিং, যেটি পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশের মধ্যে অন্যতম। এরকম অনন্য স্থাপনা অন্য কোথাও নেই।’

ট্রেন চালু হলে কালুরঘাট সেতু সমস্যা তৈরি করবে কিনা, এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কালুরঘাট সেতু সংস্কারের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ট্রেন চলাতে কোনো সমস্যা হবে না। এখানে আধুনিক মানের ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ।’

এডিবির অর্থায়নে দোহাজারি থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার নতুন ডুয়েল গেজ সিঙ্গেল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি ট্রান্স‌ এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। পর্যটন শহর কক্সবাজার রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে, সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, রাবারের কাঁচামাল এবং বনজ ও কৃষিজ দ্রব্যাদি পরিবহণ করা সম্ভব হবে।

এ পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) মো. শহিদুল ইসলাম, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, প্রকল্প পরিচালক মো. মফিজুর রহমানসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।