করোনার সতর্কতায় হিলি ইমিগ্রেশনে মেডিকেল টিম

Looks like you've blocked notifications!
হিলি ইমিগ্রেশনে করোনা সতর্কতা। ছবি : সংগৃহীত

চীন ও ভারতসহ কয়েকটি দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় দিনাজপুরের হিলিবন্দরে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। আজ বুধবার থেকে ইমিগ্রেশনের হেলথ স্ক্রিনিং বুথে কাজ করছে মেডিকেল টিম। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতায়াত করতে হচ্ছে পাসপোর্টযাত্রীদের। তবে, আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাকচালকদের ক্ষেত্রে মানতে দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি। অনায়াসেই চলাচল করছে তাঁরা।

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চীনে বিএফডট.৭ ও বিএফডট.১২ নামে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। এরইমধ্যে এই ভাইরাস ভারতের গুজরাট ও ওড়িশায় দেখা গেছে। শনাক্তও হয়েছেন কয়েকজন। এই ভাইরাস যাতে বাংলাদেশে ছড়াতে বা আসতে না পারে, সেজন্য সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী হিলি ইমিগ্রেশনে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।

গত রোববার ঢাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেশের বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও নৌবন্দরে নতুন করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু গত দুদিন হিলি ইমিগ্রেশন ও স্থলবন্দরে স্থানীয় স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে ছিল না সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। শুধু বন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ পাসপোর্টযাত্রীদের করোনা টিকার সনদ নিয়ে আসা-যাওয়ার অনুমতি দেয়। একইসঙ্গে মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়। পরে আজ বুধবার থেকে কড়াকড়ি করা হয় স্বাস্থ্যপরীক্ষায়।

ভারত থেকে আসা বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রী ময়নুল হোসেন বলেন, ‘ভারতের অনেক জায়গায় গিয়েছি, কোথাও সতর্কতা বা আতঙ্ক রয়েছে, এমন মনে হয়নি। এমনকি ভারতের হিলি ইমিগ্রেশনও এ বিষয়ে কিছু বলেনি। পার হয়ে আসার পর আমাদের হিলি ইমিগ্রেশনে করোনার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা দেখে খুশি হয়েছি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার দাস জানান, সরকারের নির্দেশনা পেয়ে আজ বুধবার সকাল থেকে হিলি ইমিগ্রেশনের হেলথ স্ক্রিনিং বুথে মেডিকেল টিম কাজ শুরু করেছে। পাসপোর্টযাত্রীদের মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতায়াত করতে বলা হচ্ছে। কারও শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ আছে বলে মনে হলে তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। যদি স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়, তাহলে তাকে উপজেলা হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি করা হবে। তবে, এখনও পর্যন্ত কারও শরীরে এই ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি।’

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান জানান, পাসপোর্টযাত্রীদের আগে থেকেই করোনা টিকার দ্বিতীয় সনদ ছাড়া যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হতো না। পাশাপাশি মাস্ক পরতে বলা হতো। যাদের টিকার সনদ নেই, তারা সরকারের নির্ধারিত যেকোনো মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আরটিপিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নেগেটিভ সনদ নিয়ে প্রবেশ করতে পারতেন। আমরা সরকারের বিধিনিষেধ মেনে যাত্রীদের পারাপারে অনুমতি দিচ্ছি। বর্তমানে এই চেকপোস্ট ব্যবহার করে ৬০০ থেকে ৭০০ যাত্রী এই দুই দেশে আসা-যাওয়া করছেন। অনেক যাত্রী নেপাল ও ভুটান ভ্রমণেও যাচ্ছেন।’