করোনায় মৃত্যু কমায় স্বস্তি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেছেন, দেশে এক সপ্তাহ ধরে করোনায় মৃত্যুতে একটি নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। গতকাল রোগী শনাক্ত ১২ শতাংশের নিচে ছিল।
আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল বুলেটিনে এ কথা বলেন মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম।
নাজমুল ইসলাম বলেন, সামগ্রিকভাবে গত এক মাসে সংক্রমণের যে গতি, তাতে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ ও আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে শেষের দিকে এসে একটি নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে।
মৃত্যু কমানোকে স্বস্তিদায়ক বললেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে এক লাখ ৭৩ হাজার ৬৯১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ২৭ শতাংশ কম। পরীক্ষা কম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যাও।’
বুলেটিনে নাজমুল আরও বলেন, গত এক সপ্তাহে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২২ হাজার ৬৮৮ জন, যা তার আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৬ হাজার ৮৮০ জন কম। সামগ্রিকভাবে দেশে করোনা সংক্রমণের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে এক সপ্তাহ ধরে। সর্বশেষ ৩১ আগস্ট শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ ১২ শতাংশের খানিকটা নিচে আমরা অবস্থান করছি।
অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের হার নিম্নমুখী প্রবণতার দিকে যাচ্ছে। এর প্রমাণ হিসেবে তিনি জানান, এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যেখানে রোগীর সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৭৭ জন, জুলাই মাসে সেখানে রোগীর সংখ্যা হয় তিন লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন। তবে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে আগস্ট মাসে নতুন শনাক্তের হার কমে এসেছে। আগস্টে রোগী শনাক্ত হয়েছে দুই লাখ ৫১ হাজার ১৩৪ জন।
বুলেটিনে আরও জানানো হয়, গত সপ্তাহে জেলা ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকা জেলায়, এরপর রয়েছে চট্টগ্রাম। নোয়াখালী জেলায় সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছে।
অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম জানান, করোনায় সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সীদের মধ্যে। এরপর রয়েছে ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সীরা, তারপর মারা গেছেন ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সীরা।