কলেজছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার

Looks like you've blocked notifications!
খায়রুন নাহার ও তাঁর স্বামী মামুন হোসেন। পুরোনো ছবি : সংগৃহীত

নাটোরে কলেজছাত্রকে বিয়ে করার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া খায়রুন নাহার (৪২) নামের সেই সহকারী অধ্যাপকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শহরের বলাড়িপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে আজ রোববার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নাটোর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম জানিয়েছেন, ওই শিক্ষিকার স্বামী মামুন হোসেনকে (২২) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে আজ সকালে নাটোর থানা পুলিশ ও পিবিআই সদস্যেরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেন।

মামুনের দাবি, রাতে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন খায়রুন নাহার। ওড়না কাটার কিছু না পাওয়ায় ওড়নায় আগুন ধরিয়ে স্ত্রীকে নিচে নামান তিনি।

খায়রুন নাহারের স্বামী মামুন হোসেনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ছবি : এনটিভি

এদিকে, ওই ভবনের তত্ত্বাবধায়ক খলিল বলছেন, গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মামুন বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এক ঘণ্টা পর ফিরে আসেন তিনি। এরপর ভোরে আবার বের হয়ে মামুন জানান, তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। এরপর নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। পরে মামুনকে ঘরের ভেতর রেখে বাইরে থেকে দরজা আটকে বাড়ির মালিককে খবর দেন খলিল। পরে তাঁরা থানায় ফোন দেন।

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ডিগ্রি কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার প্রেম করে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর বিয়ে করেন শহরের নবাব সিরাজ উদ দৌলা সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মামুন হোসেনকে। বিষয়টি চলতি বছরের ৩১ জুলাই জানাজানি হলে এ নিয়ে খায়রুন নাহারের প্রথম স্বামী ও ছেলেসহ পরিবারের লোকজন ব্যাপকভাবে তাঁর সমালোচনা শুরু করেন। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ঝড় তোলে।