কলেজছাত্রীকে সিঁদুর পরাতে গিয়ে আটক ৫০ বছরের এক ব্যক্তি

Looks like you've blocked notifications!
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর এলাকায় এক কলেজছাত্রীকে জোর করে সিঁদুর পরাতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার তপন কুমার ঘোষ। ছবি : এনটিভি

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ পৌর এলাকায় এক কলেজছাত্রীর কপালে জোর করে সিঁদুর পরাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা খেলেন ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। আজ বুধবার (৩ মে) সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

তপন কুমার ঘোষ নামের ওই ব্যক্তিকে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তাঁর পকেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সিঁদুরের কৌটা।

আটক তপন কুমার ঘোষের বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার খেদাপাড়া গ্রামে। এক ছেলে সন্তানের জনক তিনি। তাঁর ছেলে ১০ম শ্রেণির ছাত্র। আর সিঁদুর পরাতে গিয়েছিলেন একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে।

স্থানীয়রা জানায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কোলা সড়ক দিয়ে কলেজে যাচ্ছিল একাদশ শ্রেণির তিন শিক্ষার্থী। এ সময় তাদের পিছু নেন তপন কুমার ঘোষ। হঠাৎ ফয়লা এলাকায় গিয়ে পেছন থেকে এক ছাত্রীকে ঝাপটে ধরে জোর করে কপালে সিঁদুর পরাতে চান তিনি। এ সময় সঙ্গে থাকা  দুই বান্ধবীর চিৎকারে মাঠে কাজ করা লোকজন ছুটে আসে। তাদের দেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এরপর ওই কলেজের অধ্যক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে অধ্যক্ষের দেওয়া তথ্যে পুলিশ এসে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়।

ওই কলেজ শিক্ষার্থীর বাবা জানান, এক বছর ধরে তাঁর কলেজপড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন তপন কুমার ঘোষ। এ নিয়ে গ্রামে বসে বিষয়টি মিটমাটের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। আজ সকালে কলেজে আসছিল তাঁর মেয়ে। এ সময় জোর করে তাকে সিঁদুর পরাতে চান তপন। তাই তাঁর কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি।

ঘটনার শিকার কলেজ শিক্ষার্থী জানায়, তিন বান্ধবীর সঙ্গে সে কলেজে যাচ্ছিল। হঠাৎ তপন নামের ওই ব্যক্তি তাদের পিছু নেন। কলেজের কাছাকাছি পৌঁছালে তিনি জোর করে তার কপালে সিঁদুর পরাতে চান। এরপর দুই বান্ধবীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে এক তপনকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

ওই ছাত্রীর কলেজ অধ্যক্ষ জানান, মেয়েটি তাঁর কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, তপন কুমার ঘোষ নামের এক ব্যক্তিকে থানায় আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।