কাজী আরেফ হত্যার ২৩তম বার্ষিকী পালিত

Looks like you've blocked notifications!
কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার কালিদাসপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে হামলায় নিহত কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ জাসদ নেতা। ছবি : সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতীয় পতাকার রূপকার, জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ জাসদ নেতা হত্যার ২৩তম বার্ষিকী আজ বুধবার। এই হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসি কার্যকর হলেও মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত অপর চার আসামি এখনো পলাতক।

দীর্ঘ ২৩ বছরেও চিহ্নিত করা হয়নি হত্যার সঙ্গে জড়িত মূল পরিকল্পনাকারীদের। ২৩তম হত্যা দিবসে মূল পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করাসহ পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত রায় কার্যকরের পাশাপাশি কাজী আরেফ আহমেদের স্মৃতি রক্ষার দাবি স্বজন ও এলাকাবাসীর।

১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার কালিদাসপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের এই সংগঠকসহ জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন, দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী, স্থানীয় জাসদ নেতা ইসরাইল হোসেন তফসের ও শমসের মণ্ডলকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট আদালত ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। পরবর্তী সময়ে উচ্চ আদালত ২০০৮ সালে নয়জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে বাকিদের খালাস দেন। এরপর ২০১৬ সালে কারান্তরীণ অবস্থায় এলাচ মণ্ডল নামে এক আসামির মৃত্যু হয় এবং তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। বাকি পাঁচ আসামি দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত বছর রওশন আলীকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকি চার আসামি এখনো পলাতক। অবিলম্বে তাদের খুঁজে বের করে রায় কার্যকরের পাশাপাশি কাজী আরেফ আহমেদের স্মৃতি রক্ষার দাবি এলাকাবাসীর।

কাজী আরেফ আহমেদের ভাতিজা কাজী হুমায়ুন কবির ও মামলার অন্যতম সাক্ষী কারসেদ আলম জানান, দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত চার আসামি এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন তারা। কাজী আরেফ আহমেদের স্মৃতি সংরক্ষণে হত্যাকাণ্ডস্থলে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, তাঁর বাড়িতে একটি মিউজিয়াম করার পাশাপাশি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করার দাবিও জানান তিনি।  

এদিকে কুষ্টিয়ায় নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ জাসদ নেতার ২৩তম হত্যা দিবস। মূল পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত এবং পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার ও রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কালিমামুক্ত করার দাবি জেলাবাসীর।