কানাডার টরন্টো রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে বাংলাদেশ বিমান। রুটটিতে ফ্লাইট পরিচালনার সময় তুরস্কের ইস্তানবুল বিমানবন্দরে টেকনিক্যাল ল্যান্ডিং করে জ্বালানি নেওয়া হয়। তবে, বিমানবন্দরটি থেকে যাত্রী নিতে পারে না বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স। এর মূলে রয়েছে কানাডা সরকারের বিধিনিষেধ।

টরন্টো রুটে ফ্লাইট পরিচালনা লাভজনক করতে তুরস্ক থেকেও যাত্রী তোলার পরিকল্পনা করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলসের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।

আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বেবিচক থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ়করণসহ এভিয়েশন সেক্টরের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ-কানাডার মধ্যে বিমান চলাচল বৃদ্ধির লক্ষ্যে এয়ার কানাডার সঙ্গে বিমান বাংলাদেশসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের কোড শেয়ারের মাধ্যমে কানেক্টিভিটি বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বেবিচক চেয়ারম্যান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টরেন্টো ফ্লাইটে মধ্যবর্তী যাত্রা বিরতি পয়েন্টে (তুরস্ক) যাত্রী উঠা-নামার অনুমোদনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার জন্য কানাডার হাইকমিশনারকে অনুরোধ জানান। কানাডার অভ্যন্তরীণ বিমান সংস্থার সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কোড শেয়ারের বিষয়টি বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেন। হাইকমিশনার এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

যদি বিমান কোড শেয়ারিংয়ের অনুমতি পায়, সেক্ষেত্রে বিমানের যাত্রীরা বিমানের তত্ত্বাবধানে ঢাকা থেকে টরন্টো হয়ে কানাডার যেকোনো শহরে কানেক্টিং ফ্লাইটের মধ্যে যেতে পারবেন। বর্তমানে কানাডার অন্যান্য রুটের বিমান যাত্রীরা ঢাকা থেকে টরন্টো নেমে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অন্য এয়ারলাইন্সে টিকিট কেটে অন্যান্য শহরে যাচ্ছেন।