কাপাসিয়ার আলোচিত ইদ্রিস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

Looks like you've blocked notifications!
গাজীপুরের কাপাসিয়ার আলোচিত ইদ্রিস (ইনসেটে) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত দুখু মিয়া ওরফে সুমন। ছবি : এনটিভি

গাজীপুরে কাপাসিয়া উপজেলার সালুয়াটেকি এলাকার বহুল আলোচিত ইদ্রিস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কাপাসিয়ার শহরটেক এলাকার মো. দুখু মিয়া ওরফে সুমনকে টোক বাইপাস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

মাকছুদের রহমান জানান, গত বছরের ২৫ আগস্ট সকালে কাপাসিয়ার সালুয়াটেকি গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে ইদ্রিস আলীর (৩০) লাশ উদ্ধার করে কাপাসিয়া থানার পুলিশ। নিহতের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় নিহতের মা মোর্শেদা বেগম বাদী হয়ে ১০ জনের নামে কাপাসিয়া থানায় মামলা করেন। কাপাসিয়া থানা পুলিশ প্রায় চার মাস মামলাটির তদন্ত করে। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে চাঞ্চল্যকর এ মামলার পরবর্তী তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় গাজীপুরের পিবিআইকে। তদন্তকালে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার তথ্যের ভিত্তিতে মো. দুখু মিয়া ওরফে সুমনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি দুখু মিয়া ওরফে সুমন জানান, নানার বাড়ির সম্পত্তির ওয়ারিশ নিয়ে মামলার প্রধান আসামি সৈয়দ জহির আহসান জাহিদের সঙ্গে তাঁর মামা রবিন ভূঁইয়ার বিরোধ দেখা দেয়। নিহত ইদ্রিস আলী মামলার এক নম্বর আসামি জাহিদের পক্ষ নিয়ে তাঁকে জমি দখলে সহযোগিতা করেন। পরবর্তীতে আসামি সৈয়দ জহির আহসান জাহিদের সঙ্গে মনোমালিন্য হলে ইদ্রিস আলী পক্ষ পরিবর্তন করে রবিন ভঁ‚ইয়ার সঙ্গে যোগ দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জাহিদ তাঁর পিস্তল দিয়ে ইদ্রিস আলীকে ভয় দেখান। এই সুযোগে আসামি সৈয়দ জহির আহসান জাহিদের মামা রবিন ভূঁইয়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি দুখু মিয়া ওরফে সুমন তার সহযোগীদের নিয়ে ইদ্রিসকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ১২ লাখ টাকায় চুক্তি হয়। পরে গত বছরের ২৪ আগস্ট রাতে দুখু মিয়া তার সহযোগীদের দিয়ে ইদ্রিসকে পুকুর পাড়ে ডেকে এনে শ্বাসরোধ ও গলা কেটে খুন করেন। গতকাল বুধবার দুখু মিয়াকে গাজীপুরের আদালতে হাজির করা হলে তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন।