কিশোরগঞ্জে ছাত্রদলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জ শহরে সমাবেশ শেষে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল করতে চাইলে বাধা পুলিশ দিলে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। ছবি : এনটিভি

কিশোরগঞ্জ শহরে জেলা ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশি বাধার অভিযোগ উঠেছে। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ঘটেছে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা। এ সময় এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন। তবে, ছাত্রদলের কর্মীদের আঘাতে কি না, নিশ্চিত করেনি তারা।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা শহরের পুরান থানার ইসলামিয়া মার্কেট চত্বর এলাকায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর পর পরই মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।  

আহত পুলিশ কনস্টেবলের নাম ইব্রাহিম মিয়া। পুলিশ বলছে, আহত ইব্রাহিমের কপালে জখমের স্থানে তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে।

জানা যায়, ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমের নিহতের প্রতিবাদে আজ বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদল প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে। কর্মসূচিতে অংশ নিতে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ছাত্রদলের কর্মীরা জেলা শহরের পুরান থানা এলাকায় ইসলামিয়া মার্কেট চত্বরে জমায়েত হয়। সেখানে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়ার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশ শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে প্রথমে ধাক্কা-ধাক্কি শুরু হয়। পরে পুলিশের সঙ্গে কিছুক্ষণ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে।  একপর্যায়ে ছাত্রদলের কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে এলাকা ত্যাগ করে।

পুলিশি বাধার কথা স্বীকার করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জানান, মিছিলের কোনো অনুমতি না থাকায় পুলিশ বাধা দেয়। এরই এক পর্যায়ে এক পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় পুলিশ কঠোর অবস্থান নিলে ছাত্রদলের কর্মীরা চলে যায়। এ ঘটনায় এখনও কেউ আটক হয়নি।

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়া বলেন, ‘সমাবেশের পর শান্তিপূর্ণভাবে মিছিলের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পুলিশ হামলা করে।’ ‘পুলিশি হামলায় পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার সঙ্গে ছাত্রদলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই’ বলে দাবি করেন তিনি।