কিশোরগঞ্জে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জে জেল হত্যা দিবসে ফুল দেওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ। ছবি : এনটিভি

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জেল হত্যা দিবসে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পাকুন্দিয়া পৌর সদর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আধা ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। একটি পক্ষ এটিকে ‘ছাত্রলীগের আভ্যন্তরীণ বিষয়' বলেছে, অপরপক্ষ সভা পণ্ড করতে চাইলে প্রতিহত করা হয়েছে বলে দবি করেছে। পুলিশ বলছে, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

বিভিন্ন সময়ের অভিযোগ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত বছরের ২২ জুলাই কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিনকে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করে। এরপর থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য সমর্থিত ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সমর্থিত কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে অন্তত ১০টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর, চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি,  ২৬ মার্চ ও ২২ জুন আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ রয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর‌্যালে ফুল দেওয়ার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সমর্থিত ছাত্রলীগের সদস্যরা পৌর এলাকার বড়বাড়ী রোডে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সমবেত হয়। সেখান থেকে ১০টার দিকে শোভাযাত্রা নিয়ে পাটমহল মোড়ে পৌঁছালে স্থানীয় সংসদ সদস্য সমর্থিত ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালিয়ে ধাওয়া করে। 

এ সময় উভয় পক্ষে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। হামলার সময় অনেকের হাতে দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।

এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘সকালে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ছাত্রলীগের আভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সকাল ১১ টায় রয়্যাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছি।’

এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের সঙ্গে বারবার চেষ্টার পরও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

‘ফুল দেওয়া নিয়ে শোভাযাত্রায় হামলার ঘটনা সঠিক না’ উল্লেখ করে পাকুন্দিয়া পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ‘চার নেতার হত্যা দিবস উপলক্ষে ডাক বাংলোতে আলোচনা সভা চলছিল। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্ববায়কের লোকজন আমাদের অনুষ্ঠান বানচাল করতে আসে। আমরা সে সময় প্রতিহত করি।’

কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন হোসাইন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ আহত বা আটক হয়নি।