কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় ৩ ব্যবসায়ী আহত

Looks like you've blocked notifications!
মাদারীপুরের কালকিনি থানা। এনটিভির ফাইল ছবি

মাদারীপুরের কালকিনিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হামলা চালিয়ে তিন ব্যবসায়ীকে গুরুতর আহত করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কালকিনি থানার সামনে স্বপন-সরাফত রোডের মাছ বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। 

আহত তিন ব্যবসায়ীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ব্যবসায়ীরা হলেন সজীব রাঢ়ী (২০), আলী বেপারী (৩০) ও লিটন হাওলাদার (৪৫)।

এ সময় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাট করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

বাজার ও ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, পৌর এলাকার পাতাবালি গ্রামে কিছুদিন আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে গতকাল বুধবার ওই এলাকার কালাচান হাওলাদারের মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠানে আসিফ হাওলাদারের নেতৃত্বে শিপন হাওলাদারের ছেলে হিমেল হাওলাদারের উপর অতর্কিত হামলা চালায় কিছু কিশোর গ্যাং সদস্য। আজ দুপুরে সেই সূত্র ধরেই রহিম হাওলাদারের ছেলে আসিফ হাওলাদারের নেতৃত্বে শাকিল বেপারী, শাহীন হাওলাদার, রায়হান হাওলাদার ও রুমান বেপারীসহ প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন কিশোর মিলে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হঠাৎ করে হামলা চালায়। এ সময় আলী বেপারীর বিকাশ এজেন্টের দোকান ও লিটন হাওলাদারের পান-সুপারির দোকান ভাঙচুর করে তারা।

আহত দোকানমালিক আলী বেপারী বলেন, ‘দুপুরে দোকানে বসার পর ২০ থেকে ২৫ জন কিশোর দেশীয় অস্ত্র হাতে হঠাৎ করে দোকানপাট ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় আমাকে আহত করে নগদ চার লাখ ২০ হাজার টাকা ও কয়েকটি মূল্যবান মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়। পরে আমার দোকানের সিসি ক্যামেরার পুরো মেশিন খুলে নিয়ে গেছে।  আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সঠিক বিচার চাই।’

ব্যবসায়ী লিটন হাওলাদার ও মো. রাজিব রাঢ়ী বলেন, ‘২০ থেকে ২৫ জন অল্প বয়সী যুবক রামদা, চাপাতি, ছুরি, হাতুড়ি, লোহার পাইপসহ সংঘবদ্ধ হয়ে অতর্কিতভাবে দোকান ভাঙচুর করে পান-সুপারি, জর্দা সবকিছু মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। এসময় বাজারের ডাকের তোলা গত এক মাসের ক্যাশে থাকা টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। আমরা প্রাণ ভয়ে পালাইয়া যেতে পারছি বলে জীবনটা বাঁচাইতে পারছি। নইলে আমাদের মেরে ফেলত।’

এ বিষয় জানতে অভিযুক্ত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন বলেন, ‘এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে। থানায়  লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’