কিশোর ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার, আটক ১

Looks like you've blocked notifications!
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়ন থেকে জসিমের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ছবি : এনটিভি

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় জসিম মিয়া নামে এক কিশোর ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের হাঁসধরা গ্রামের ধানক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

পারিবারিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর জসিম বাড়ি ফেরেনি। সে হাঁসধরা গ্রামের গোলাপজানের ছেলে। জসিম টেংগরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ার পাশাপাশি ভ্যান চালাত।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার রাতে মাসুদ (৩৫) নামে একজন শ্রীবরদী উপজেলার উত্তর বাজারে জসিমের ভ্যানটি বিক্রি করতে গেলে বাজারের লোকজন তাঁকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জসিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মাসুদের বাড়িও শ্রীবরদী উপজেলার বিলভরট গ্রামে।

শ্রীবরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাইম মো. নাহিদ হাসান জানান, দরিদ্র হওয়ায় জসিম মিয়া লেখাপড়ার পাশাপাশি ভ্যান চালাত। গত মঙ্গলবার রাতে ভাড়ায় গিয়ে আর ফিরে আসেনি সে। এদিকে বুধবার রাতে জসিমের ভ্যানটি বিক্রি করতে শহরের উত্তরবাজারে নিয়ে আসে মাসুদ। এ সময় লোকজন জসিমের ভ্যান চিনতে পারে। তারা মাসুদকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মাসুদকে আটক করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে আজ দুপুরে হাঁসধরা গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে জসিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, মাসুদসহ আরও চার থেকে পাঁচজন মিলে জসিমের রিকশা-ভ্যানটি ভাড়া নেয়। একপর্যায়ে, তারা ভ্যানটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশে জসিমকে প্রথমে শ্বাসরোধ ও পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ওই ধানক্ষেতে তার মরদেহ ফেলে যায়।

এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।