কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা মামলার দুই আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

Looks like you've blocked notifications!
কুমিল্লায় কাউন্সিলর ও তাঁর সহযোগী হত্যা মামলার দুই আসামি সোমবার দিবাগত রাতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। ছবি : এনটিভি

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সো‌হেল ও তাঁর সহযোগী হ‌রিপদ সাহা হত্যা মামলার দুই আসামি কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। জেলার গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের সংরাইশ এলাকায় গতকাল সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের দাবি, এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত দুজন হলেন, কাউন্সিলর ও তাঁর সহযোগী হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি মো. সা‌ব্বির হো‌সেন ও ৫ নম্বর আসামি সাজেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গতকাল সোমবার রাতে কাউন্সিলর সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাত আসামিরা সংরাইশ ও নবগ্রাম এলাকায় অবস্থান করছে বলে খবর পায় পুলিশ। এরপর কোতোয়ালি মডেল থানা এবং গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একাধিক টিম তাঁদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালায়। পরে দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে কোতোয়ালি থানার গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন সংরাইশ এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। গোলাগুলির একপর্যায়ে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী পালিয়ে যায়। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।

পরে ঘটনাস্থলে দুই ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর তাঁদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ঘটনাস্থল তল্লাশি করে আসামিদের ব্যবহৃত একটি পিস্তল, একটি পাইপগান, পিস্তলের অব্যবহৃত গুলি, গুলির খোসা ও কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয় জনতা কাউন্সিলর সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ রায় হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামিদের দেখে একজনকে সাজেন এবং অপরজনকে সাব্বির বলে শনাক্ত করে।

এদিকে, সরকারি কাজে বাধা, হত্যা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অভিযোগ এনে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল আজীম। এ ছাড়া দুজনের লাশ কুমেকের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।