কুমিল্লায় লেটুসপাতা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে

Looks like you've blocked notifications!
বাসসে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে নেওয়া ছবি

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার গোক্ষর গ্রামে লেটুসের চাষ শুরু করেছে ওই গ্রামের শিক্ষার্থী সৌরভ ভৌমিক। অনেকটা বাঁধাকপির মতো দেখতে এই পাতাকে এলাকার লোকজন প্রথম দিকে চিনতেন না। সেই পাতাই এখন আগ্রহ বাড়াচ্ছে চাষে। ভালো লাভ হওয়ায় মাঠের পর মাঠ ভরে উঠেছে লেটুস পাতায়। 

সৌরভ ভৌমিক জানান, তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাঞ্ছারামপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে তিনি এ লেটুসপাতা দেখেন। এরপর তিনি ইন্টার্নি করতে আসেন নিজ এলাকা বুড়িচং উপজেলায়। সেখানে কৃষি অফিসার বানিন রায় ও উপসহকারী কৃষি অফিসার সুলতানা ইয়াসমিনের পরামর্শে ডাব বেগুনের জমিতে লেটুসপাতা চাষ করেন। সাত শতক জমিতে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার টাকায়। এ ছাড়া ওই একই জমির ডাব বেগুন বিক্রি করে পেয়েছে দেড় লাখ টাকার মতো।

চাইনিজ খাবার, বার্গার ও সালাদে লেটুসের ব্যবহার রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায় বলেন, লেটুস, ক্যাপসিক্যাপ এ এলাকায়  অপ্রচলিত ফসল। তবে, বাজারমূল্য বেশি। বেগুন ও মরিচের জমিতে এসব সবজির চাষ করা যেতে পারে। এগুলো কম খরচে কম সময়ে সাথী ফসল হিসেবে উৎপাদন করা যায়। এতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। তবে বিক্রির নিশ্চয়তা থাকলে তারা বেশি লাভবান হতে পারবেন। 

সৌরভ আরও জানান, আগামী বছর আরও বড় পরিসরে লেটুসের চাষ করবেন। স্থানীয় ময়নামতি, নিমসার বাজারে পাইকারি ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করেন। এগুলো খুচরা ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। তার লেটুসের চাষ দেখে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন। 

হর্টিকালচার সেন্টার কুমিল্লার উপপরিচালক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘এবার আমরা আড়াই হাজারের বেশি চারা বিতরণ করেছি। দিনদিন এই লেটুসপাতার চারার চাহিদা বাড়ছে। লেটুস একটি পাতা জাতীয় সবজি। লেটুসপাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন আছে। অনেকে সালাদে লেটুসপাতা খেয়ে থাকেন।’