কুলাউড়ায় রেললাইনে পানি, ট্রেন চলাচল নিয়ে শঙ্কা

Looks like you've blocked notifications!
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার উপজেলার বরমচাল ও ছকাপন রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তীস্থানে রেললাইনে বন্যার পানি। ছবি : এনটিভি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার উপজেলার বরমচাল ও ছকাপন রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তীস্থানে রেললাইনে বন্যার পানি উঠে গেছে। এতে ট্রেন চলাচল নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, বরমচাল ও ছকাপন রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী ফানাই-আনফানাই নদীর এলাকায় রেললাইনে পানি উঠতে শুরু করে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর বিস্তৃতিও বাড়ছে। ওই স্থানে গতি কমিয়ে আপাতত ট্রেন চলছে। তবে, পানি বাড়তে থাকলে সারা দেশের সঙ্গে সিলেট অঞ্চলের রেল যোগাযোগ ফের বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কয়েক দিনের টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাকালুকি হাওরের তীরবর্তী কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। কমবেশি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এখনো অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকার ঘরবাড়িতে উঠছে পানি। প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা। বৃদ্ধি পাচ্ছে হাওরের পানি।

বরমচাল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সাজ্জাদ আলী সাজু জানান, ফানাই-আনফানাই নদী এলাকায় বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত বন্যার পানি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ওই স্থান দিয়ে ট্রেন চলাচল ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কুলাউড়া রেলওয়ে জংশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার হরিপদ সরকার মুঠোফোনে জানান, গেল তিনদিন ধরে ওই স্থানটিতে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। রেললাইনের দুটি স্থানে এক থেকে দুই ইঞ্চি উপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানির স্রোত কম থাকায় গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচল অব্যাহত রয়েছে। তবে, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ট্রেন চলাচল যেকোনো সময় বন্ধ হতে পারে। হরিপদ সরকার আরও বলেন, ‘রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জায়গাটি পরিদর্শন করেছেন। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, গত কয়েকদিনের পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুলাউড়া থেকে সমশেরনগর ও কুলাউড়া থেকে মাইজগাঁও পর্যন্ত গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’