কুষ্টিয়ায় চার হত্যা মামলায় ৪ আসামি গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
কুষ্টিয়ায় ঝাউদিয়ার আস্তানগরে ঈদের আগের দিন হত্যা মামলার এজাহারনামীয় এই ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ছবি : এনটিভি

কুষ্টিয়ায় ঝাউদিয়ার আস্তানগরে ঈদের আগের দিন চার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি, ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান কেরামতসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়ার কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান, গত ২ মে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্তানগরে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনায় এজাহারনামীয় আসামিদের ধরতে র‌্যাব-১২ ব্যাপক অভিযান শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইবি থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে এজাহারনামীয় আসামি ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান কেরামত আলী বিশ্বাস, তার ভাই লিয়াকত আলী বিশ্বাস, ছেলে শামীমুজ্জামান সাগর ও অপর আসামি রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের আজ বিকেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া চারজনই আস্তানগরের সংঘর্ষে নিহত প্রতিপক্ষ একই পরিবারের কাশেম মণ্ডল ও তার ভাতিজা লাল্টু মণ্ডল ও মতিয়ার মণ্ডল হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি। তাদের আগামীকাল বুধবার সকালে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

এদিকে সংঘর্ষে কেরামত আলী বিশ্বাসের সমর্থক রহিম মালিথা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ঝাউদিয়া ই্উনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান  মেহেদী হাসান কুষ্টিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।

উল্লেখ্য, গত ২ মে বিকেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্তানগরে  সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান কেরামত উল্লাহ ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত ফজলু মণ্ডল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ফজলু মণ্ডলের ছোট ভাই কাশেম মণ্ডল, ভাতিজা লাল্টু মণ্ডল ও মতিয়ার মণ্ডল এবং কেরামত উল্লাহ সমর্থিত রহিম মালিথা নিহত হন। পরের দিন রাতে সংঘর্ষে নিহত মতিয়ার মণ্ডলের ভাই আশরাফুল বাদী হয়ে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান কেরামত উল্লাহকে প্রধান আসামি করে ৬৭ জনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

অপরদিকে সংঘর্ষে নিহত রহিম মালিথার ছেলে রফিকুল বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ আনিস মেম্বারকে প্রধান আসামি করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে একই থানায় আরেকটি হত্যা মামলা করেন।