কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলায় দুই মাদ্রাসা শিক্ষক খালাস

Looks like you've blocked notifications!
কুষ্টিয়ায় খালাস হওয়া দুই মাদ্রাসা শিক্ষক। ছবি : এনটিভি

কুষ্টিয়ার বহুল আলোচিত বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় দুই মাদ্রাসা শিক্ষক আল-আমিন ও ইউসুফ আলীকে খালাস দিয়েছেন সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালত। তবে, ভাঙচুরে জড়িত মূল আসামি দুই মাদ্রাসাছাত্র এখনও কারাগারে আছেন। তাদের বিচার কাজ চলছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অ্যাডভোকেট নন্দী বলেন, ‘আজ যারা খালাস পেয়েছেন তারা কুষ্টিয়ার যুগিয়া এলাকার ইবনি মাসউদ কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক। তারা ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত এমন প্রমাণ পায়নি আদালত। তবে, মূল আসামি ওই মাদ্রাসারই দুই ছাত্র মো. আবু বক্কর ওরফে মিঠুন ও মো. সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদের ট্রায়াল চলছে।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতে বিচারক হিসেবে কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ শেখ আবু তাহের বিচার কাজ পরিচালনা করছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় তিনি এই দুই আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। তাদের বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে আদালত এ আদেশ দেন।’

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বর রাত ২টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর হয়। দুই মাদ্রাসাছাত্র হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ভাস্কর্যের মুখ ও হাতের অংশের ক্ষতি করে। এ ঘটনায় দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ভাস্কর্যের কাছেই ছিল পুলিশের সিসি ক্যামেরা। সেই ফুটেজ ও আশপাশের অন্য সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দ্রুততার সঙ্গে পুলিশ ঘটনায় জড়িত কুষ্টিয়া শহরতলীর জুগিয়া মাদার শাহ পশ্চিম পাড়ার ইবনি মাসউদ কওমী মাদ্রাসার ছাত্র মো. আবু বক্কর ওরফে মিঠুন এবং মো. সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব মো. কামাল উদ্দিন কুষ্টিয়া মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দেন। পরে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে মাদ্রাসার দুই শিক্ষক আল-আমিন ও ইউসুফ আলীকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পর মামলার বিচার কাজ শুরু হয়।