কুষ্টিয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যসহ ৬ আ.লীগ নেতাকর্মীর যাবজ্জীবন

Looks like you've blocked notifications!
পুলিশি পাহারায় আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের। ছবি : এনটিভি

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে শিবিরনেতা আব্দুল্লাহ আল মঞ্জুকে (১৭) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও মারধর করে হত্যার অভিযোগে সাবেক ইউপি সদস্যসহ ছয় আ.লীগ নেতাকর্মীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের আব্দুল্লাহ, রুবেল, কাশেম, পান্টি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমিন, নজরুল ও ফরিদ। আসামিরা সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।

রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। একজন পলাতক ছিলেন। রায় ঘোষণার পরপর তাদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি রুবেল পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৩ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের চেয়ারম্যান পাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মঞ্জুকে বাড়ির পাশে পূর্ব শত্রুতার জেরে কুপিয়ে ও এলোপাতাড়ি মারধর করে নির্মমভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায় আসামিরা। এ ঘটনায় নিহত মঞ্জুর বাবা বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাসির উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। আজ নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের শাস্তির আদেশ দেন।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যার দায়ে ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলার ২৯ জন আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।’