ক্লাবগুলোতে গ্যালনে গ্যালনে মদ বিক্রি : মুজিবুল হক

Looks like you've blocked notifications!

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, রাজধানীর গুলশান ক্লাব, ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাবসহ কয়েকটি ক্লাবে মদ খাওয়া হয়। জুয়া খেলা হয়। বাংলাদেশে মদ খেতে হলে লাইসেন্স লাগে। অথচ এসব ক্লাবে গ্যালন–গ্যালন মদ বিক্রি হয়। লাইসেন্স নিয়ে খেতে হলে এতো মদ তো বিক্রি হওয়ার কথা নয়।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের এক আলোচনায় অংশ নিয়ে মুজিবুল হক চুন্নু এসব কথা বলেন।

স্পিকারের কাছে প্রশ্ন রেখে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘এত টাকা কোথা থেকে আসে? গ্রামে কেউ মদ খেলে পুলিশ ধরে নিয়ে আসে, কিন্তু এসব ক্লাবে মদ খাওয়ার পরও পুলিশ কোনো গ্রেপ্তার অভিযান চালায়নি।’

মুজিবুল হক বলেন, ‘গুলশান-বারিধারা এলাকায় ডিজে পার্টি হয়। সেখানে ড্যান্স হয়। নেশা করা হয়। মদ খাওয়া হয়। এসব আমাদের আইনে নেই, সংস্কৃতিতে নেই, ধর্মে নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন, কেন এসব হচ্ছে? কেন এগুলো বন্ধ করা হবে না? ওই সব ক্লাবের সদস্য কারা হয়? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয় যেন দেখেন।

‘কয়েক দিন ধরে একজন চিত্রনায়িকার (পরী মণি) বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটা বোট ক্লাব। কে করল এই ক্লাব? এ ক্লাবের জায়গার আসল মালিক যিনি তিনি নাকি দখল পাচ্ছেন না। জোর করে এ জায়গা দখল করা হয়েছে; এটি দেখা দরকার। এই ক্লাবের সদস্য কারা হয়? সরকারি কর্মকর্তারা এ ক্লাবের সদস্য হন। শুনেছি, ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা দিয়ে এ ক্লাবের সদস্য হতে হয়। এতো টাকা দিয়ে কীভাবে ক্লাবের সদস্য হন? আমরা তো ভাবতেই পারি না।’ যোগ করেন মুজিবুল হক চুন্নু।