খাগড়াছড়ির পাঁচ উপজেলায় ইউপিডিএফের অবরোধ

Looks like you've blocked notifications!
রামগড় জালিয়াপাড়া সড়কের যৌথ খামার এলাকায়  আজ রোববার সকালে  টায়ারে আগুন দিয়ে এবং ইট ফেলে অবরোধ করে পিকেটাররা ছবি: এনটিভি

খাগড়াছড়িতে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে পাঁচ উপজেলায় ইউপিডিএফের ডাকে অর্ধেক দিনের সড়ক অবরোধ চলছে। আজ রোববার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ অবরোধ চলবে বলে জানায় ইউপিডিএফ।

খাগড়াছড়ির গুইমারায় গতকাল শুক্রবার সকালে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফের গুইমারা উপজেলা সংগঠক অংথোই মারমা ওরফে আগুনকে হত্যার প্রতিবাদে এই অবরোধের ডাক দেয় পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ।

অবরোধ চলাকালে রোববার খাগড়াছড়ির পাঁচ উপজেলায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিচ্ছিন্নভাবে পিকেটিং করেছে ইউপিডিএফ সমর্থকেরা। খাগড়াছড়ির সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দূরপাল্লার সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়াও খাগড়াছড়ির গুইমারা, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কেও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশকোচগুলো সকালের দিকে পুলিশি পাহারায় জেলা সদরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সকাল ৭টার দিকে রামগড় জালিয়াপাড়া সড়কের যৌথ খামার এলাকায় রাস্তায় টায়ারে আগুন দেয় এবং ইট ফেলে রাস্তা অবরোধ করে পিকেটাররা। জালিয়াপাড়া-মানিকছড়ি সড়কে রাস্তার পাশের গাছ কেটে রাস্তা অবরোধ করে তারা।

এ ঘটনায় আজ সকাল ৮টার দিকে কিছু গাড়ি রামগড়ে আটকা পড়ে থাকতে দেখা যায়। যাত্রী ও আটকাপড়া পর্যটকদের দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে। এই অবরোধে যে কোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে পাঁচ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।

গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রশীদ বলেন, ‘গুইমারা থানা এলাকার সাতটি পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অবরোধকারীরা চোরাগোপ্তা হামলা করছে। পুলিশি পাহারায় যান চলাচল স্বাভাকিক রাখা হয়েছে। তবে অবরোধকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’