খাদ্য নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন রাখতে কৃষিজমি রক্ষা করুন : তথ্যমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আজ রোববার দুপুরে রাজধানীতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষি ও গণমাধ্যম’ সেমিনারে অংশ নেন। ছবি : সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষিবিদদের নানা উদ্ভাবন ও কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে শুধু পৃথিবীকে নয়, বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকেও অবাক করে দিয়ে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। এই নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন রাখতে দেশে কৃষিজমি রক্ষা একান্ত প্রয়োজন।’

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষি ও গণমাধ্যম’ সেমিনারে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি বছর দেশে এক শতাংশ কৃষি জমি কমে যায়। এভাবে প্রতি বছর যদি দুই লাখ একর কৃষি জমি হারিয়ে যায়, তাহলে শেষ নাগাদ এই দেশে আর কৃষি জমি থাকবে না।’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০ বছর পর বাংলাদেশে লোকসংখ্যা আরও চার কোটি বৃদ্ধি পাবে, আর ৪০ লাখ একর কৃষি জমি কমে যাবে। তখন বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তার কী হবে সেজন্য জনসচেতনতা যেমন দরকার, একইসঙ্গে যারা এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের এ বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।’

কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কৃষি তথ্য সার্ভিস আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. সুরজিত সাহা রায় স্বাগত বক্তব্য দেন ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মণ্ডল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। 

ড. হাছান বলেন, ‘আমার কাছে যখন চট্টগ্রামের কোনো রাস্তা আরও প্রশস্ত করার প্রস্তাব আসে, তখন আমি সেখানে যে অনেক কৃষি জমি নষ্ট হবে, পাহাড়-বন কাটতে হবে, পরিবেশ-প্রকৃতি সম্পর্কে এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে সত্যিকার অর্থে রাস্তা প্রশস্ত করার প্রয়োজন নির্ধারণ করতে বলি। একইসঙ্গে এখন কৃষি শ্রমিকের যে মজুরি, তা দিয়ে কৃষিতে খুব বেশি লাভ থাকে না বলে অনেক জমি অনাবাদি পড়ে থাকে। কৃষিকে পূর্ণ যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে অনাবাদি জমিতে আবাদ করা গেলে খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সহজ হবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যম এক্ষেত্রে জনগণ ও এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে বিরাট ভূমিকা পালন করতে পারে।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পৃথিবীতে আয়তনের দিক দিয়ে ৯২তম বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এবং মাথাপিছু সর্বনিম্ন কৃষিজমির দেশ। ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত এ দেশের নিত্যসঙ্গী। এ সমস্ত কারণে এ দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা স্বাভাবিকভাবেই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তারপরও আমরা ধান ও মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে চতুর্থ, আলু উৎপাদনে সপ্তম। গণমাধ্যম মানুষকে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। মানুষের জীবনের সাথে মিশে থাকা কৃষির এ বিষয়গুলো যদি তারা আরও বেশি তুলে ধরে তাহলে দেশ উপকৃত হবে, খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখা সহজ হবে।’