খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা ছাড়া জনগণ ঘরে ফিরবে না : শামসুজ্জামান দুদু

Looks like you've blocked notifications!
আজ বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি আউটার স্টেডিয়ামে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি : এনটিভি

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে বলেছেন, ‘অন্যথায় সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু হবে। তখন পালাবার পথ পাবেন না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা ছাড়া বাংলার মানুষ ঘরে ফিরে যাবে না।’

আজ বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি আউটার স্টেডিয়ামে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু এ কথা বলেন।

জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক জালাল আহাম্মদ মজুমদার, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি ইউসুফ বিন জলিল কালু, যুগ্ম সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মিনার, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার ও জেলা নেতারা বক্তব্য দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া জীবনে কোনো নির্বাচনে পরাজয় বরণ করেননি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধে কারাগারে ছিলেন। এখন নিশি রাতের ভোটের সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।’

অবিলম্বে সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান শামসুজ্জামান দুদু।

অন্যথায় জনতাই সরকারকে ক্ষমতাহীন করে দেবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। একইসঙ্গে তিনি খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানান।

সভাপতির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ব্যবস্থার না হলে আগামীতে আপনার চিকিৎসাও বাংলাদেশের মাটিতে হবে না।’

সমাবেশ উপলক্ষে আজ সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে জড়ো হতে থাকে। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে দলে দলে সমাবেশে যোগ দেয়। সমাবেশ উপলক্ষে পুলিশের প্রহরা জোরদার করা হয়।