খালেদা জিয়ার কিছু হলে দায় সরকারের : মির্জা ফখরুল

Looks like you've blocked notifications!
ঠাকুরগাঁও সাধারণ পাঠাগার মাঠে আজ বৃহস্পতিবার বিএনপি আয়োজিত খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে জনসমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : এনটিভি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের ও জনগণের জন্য গণতন্ত্র রক্ষায় আপসহীন সংগ্রাম করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় আটক হয়ে খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমরা অবিলম্বে তাঁর মুক্তি চাই। তাঁর সুচিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। সারা দেশের মানুষের দাবি, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর। কিন্তু এসব দাবি সরকারের কানে যায় না। যদি খালেদা জিয়ার কিছু হয় সরকারকে এর দায় নিতে হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সাধারণ পাঠাগার মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে এক জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দি থেকেছেন। পাকসেনারা তাঁকে তাঁর সন্তানসহ কারাগারে বন্দি রেখেছিল। তাই তিনি শুধু মুক্তিযোদ্ধাই নন বরং বাংলার প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা, একথা শুনলে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা, চমচাসহ স্বয়ং মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রীর গায়ে ফোসকা পড়ে। খালেদা জিয়া উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। তিনি নয় বছর ধরে দেশের গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে সারা দেশেই আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। তিনি স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে তাঁর পতন ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় এসেছিলেন।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘নতুন বছরের শুরুতেই আমরা এ সরকারের পতনের দিন ধার্য করব। বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়ে আমরা এ সরকারের পতন ঘটাব এবং তারেক রহমানের হাত ধরেই গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব।’

‘প্রিজাইডিং অফিসার দিয়ে ভোটচুরির নতুন কৌশল আবিষ্কার করছে আওয়ামী লীগ সরকার। এখন আর সহিংস পরিবেশ তৈরির প্রয়োজন পড়ে না। প্রিজাইডিং অফিসার দিয়েই ভোটের ফলাফল পাল্টে ফেলা যাচ্ছে অনায়াসেই’, যোগ করেন মির্জা ফখরুল।

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু প্রমুখ।