খালের মুখ ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ, বিপুল জমি অনাবাদি

Looks like you've blocked notifications!
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার বড়বিলা বিলের খালের মুখ ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ করায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ফসলি জমি কচুরিপানা, আগাছায় ভরে গেছে এবং বিপাকেপড়া মানুষ বাঁশের সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছে। ছবি : এনটিভি

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার দত্তের বাজার ইউনিয়নের নতুন বাজার সংলগ্ন বড়বিলা বিলের খালের মুখ প্রভাবশালীরা ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার দুই ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর  জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।

একদিকে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ বন্ধ  করে দেওয়ায় এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে কাঁচা রাস্তা ও বাড়িঘরে পানি ওঠে সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে দুই ফসলি প্রায় এক হাজার একর ধানের জমি অনাবাদি থেকে যাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এসব জমির মালিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। জলাবদ্ধতায় বিপাকেপড়া বিলপারের মানুষজন বাঁশের সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছে।

এসব ফসলি জমি এখন কচুরিপানা আর আগাছায় ভরে ওঠেছে। বড়বিলা বিলের  পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বিলের জমিতে এখন চাষাবাদ করা যাচ্ছে না।

স্থানীয় কৃষক জালাল উদ্দিন, মুজিবুর রহমান, আবুল হাসেম, তফাজ্জল হোসেন, বালিপাড়ার কৃষক জালাল উদ্দিন ও আলী হোসেন জানান, তাঁরা প্রতি বছর বড়বিলা বিলের জমিতে বোরো ধানের বীজতলা প্রস্তুত করে চারা উৎপাদন করতেন। জলাবদ্ধতার কারণে এ বছর তাঁরা বীজতলা প্রস্তুত করতে পারেননি। বাধ্য হয়ে অনেকেই অন্যত্র বীজতলা প্রস্তুত করে চারা উৎপাদন করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিলটির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না হওয়ায়  এবং প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বোরে ধান চাষে অনিশ্চয়তায় আছেন এবং হতাশায় ভুগছেন তাঁরা।

গত বছরের ২১ আগস্ট দ্বীপ পাগলা ও বালিপাড়া গ্রামে অবস্থিত বড়বিলা বিলের পানি নিষ্কাশনে কৃষক ও গ্রামবাসীর পক্ষে আলী হোসেন নামে এক ব্যক্তি এলাকার শতাধিক কৃষকের গণস্বাক্ষর নিয়ে গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে জমা দেন।

এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) গফরগাঁওয়ের ইউএনও মো. আবিদুর রহমান বলেন, ‘এলাকার কৃষকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ১৪ নভেম্বর সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এ কমিটিকে সরেজমিন তদন্তপূর্বক স্ক্যাচ ম্যাপ ও আনুষঙ্গি খরচসহ সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে প্রতিবেদন পেয়ে একটি প্রাক্কলনও প্রদান করেছি। এ বছর ২৪ জানুয়ানি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বরাদ্দ না আসা পর্যন্ত জনগণকে খালের মুখ খুলে দিয়ে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার জন্য বলে এসেছিলাম। তা  না হয়ে থাকলে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’