খুলনায় জেলি প্রয়োগ করা কোটি টাকার চিংড়ি জব্দ

Looks like you've blocked notifications!
খুলনার ঢোল প্লাজায় জব্দ করা চিংড়ি। ছবি : এনটিভি

বিদেশে রপ্তানি করা চিংড়িতে জেলি বা অপদ্রব্য প্রয়োগ করে ওজন বৃদ্ধি করার কর্মকাণ্ড যেন কোনো অবস্থাতেই থামানো যাচ্ছে না। এরই মধ্যে দুদিনের ব্যবধানে খুলনার রূপসা নদীর ঢোল প্লাজায় অভিযান চালিয়ে দুটি ট্রাক থেকে জেলি প্রয়োগ করা অবস্থায় সাত হাজার ৮০০ কেজি চিংড়ি জব্দ করে বিনষ্ট করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন, মৎস্য অধিদপ্তর এবং কোস্টগার্ড সমন্বয়ে যৌথ টিম এ অভিযান চালায়। জব্দ করা এসব চিংড়ির বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি টাকা বলে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রূপসার ঢোল প্লাজায় একটি ট্রাকে থাকা ৫৫১টি কার্টনভর্তি ককশিট তল্লাশি করে ৮৪টি ককশিট থেকে এক হাজার ৭৫০ কেজি চিংড়ি জেলি প্রয়োগ করা অবস্থায় জব্দ করা হয়। জব্দ করা এসব চিংড়ির বাজারমূল্য ২০ লাখ টাকা। এসব চিংড়ির মালিক না পাওয়ায় ট্রাকচালক এবং ডিপো মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢোল প্লাজায় একটি ট্রাক আটক করা হয়। চিংড়ি বিক্রির উদ্দেশ্যে ট্রাকটি চট্টগ্রামের ফিশারি ঘাটে যাচ্ছিল।  সেখানে ৬২২টি ককশিটভর্তি বাগদা, গলদা ও হরিনা চিংড়ি ছিল। ওই ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে ৬২২টি ককশিটের মধ্যে ২৪২টিতে জেলি প্রয়োগ করা অবস্থায় বাগদা চিংড়ি পাওয়া যায়, যার ওজন ছয় হাজার ৫০ কেজি। এসব চিংড়ির আনুমানিক মূল্য ৭৫ লাখ টাকা। জব্দ করা সব চিংড়ি প্রায় ২০ জন শ্রমিকের সহযোগিতায় ট্রলারে করে রূপসা নদীর মাঝখানে নিয়ে বিনষ্ট করা হয়।

এসব অভিযানে মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের (এফআইকিউসি) এ বি এম জাকারিয়া, ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার, পরিদর্শক মো. আসিকুর রহমান, মো. মাসুদুর রহমান এবং কোস্টগার্ডের পশ্চিম জোনের সিপিও ফরহাদুল ইসলামসহ কর্মকর্তারা সরাসরি অংশ নেন। বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এস হুমায়ুন কবীর এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

এস হুমায়ুন কবীর জানান, দুদিনে জব্দ করা সাত হাজার ৮০০ কেজি চিংড়ির বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। বিদেশে এই জেলি প্রয়োগ করা চিংড়ি রপ্তানি করায় দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয় এবং রপ্তানি হওয়া চিংড়ি ফেরত আসার ঘটনাও ঘটছে। এ কারণে ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন, মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড সমন্বয় যৌথ টিম অভিযান পরিচালনা করছে।