খেলতে গিয়ে ১৩ দিনেও বাড়ি ফেরেনি তারা

Looks like you've blocked notifications!
জাহিদ হাসান (বামে) ও শরিফুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত

জাহিদ হাসান ও শরিফুল ইসলাম। তারা দুজনই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। গাজীপুরের দুই উপজেলার পৃথক দুটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করত। বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের বিবাদিয়া গ্রাম। তারা একে অপরের চাচাতো ভাই।

জাহিদ হাসান (১২) কাপাসিয়া উপজেলা রায়েদ ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসায় পড়ত, আর শরিফুল ইসলাম গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার একটি মাদ্রাসায়। ঈদের ছুটিতে দুজন গ্রামের বাড়িতেই ছিল।

গত ৬ মে জাহিদ ও শরিফুল বাড়ির পাশের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলা করতে যায়। কিন্তু,  আর বাড়ি ফেরেনি। তারপর থেকে দুজনের পরিবার সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু, কোথাও তাদের পাওয়া যায়নি।

পরিবার ভেবেছিল, তারা আবার বাড়ি ফিরবে। এ ভাবনার কারণও আছে। এর আগেও জাহিদ ও শরিফুল বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিল। পরে তারা দুজনই বাড়ি ফিরে এসেছে। কিন্তু, এবার নিখোঁজের ১৩ দিন পার হলেও ফেরেনি তারা।

খেলতে গিয়ে নিখোঁজের ৬ দিন পর পরিবার বিষয়টি থানার জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। গত ১৩ মে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে কাপাসিয়া থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হয়।

এ দুটি জিডির তদন্ত কর্মকর্তা কাপাশিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তপন চন্দ্র ভাকালি এনটিভি অনলাইনকে ওই দুই কিশোরের নিখোঁজ বিস্তারিত বর্ণনা ও জিডির বিষয়টি জানান।

তপন চন্দ্র ভাকালি বলেন, ‘দুই মাদ্রাসার ওই দুই শিক্ষার্থী ঈদের ছুটিতে বাড়িতে থাকা অবস্থায় নিখোঁজ হয়। বাড়ির পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলা করতে গিয়ে আর তারা ফেরেনি বলে পারিবারের দাবি। তবে, তারা কোথায় যেতে পারে, কারও সঙ্গে ভালো বা খারাপ সম্পর্ক ছিল কি না; সেসব তথ্য জানাতে পারেনি। যদিও পরিবার কাউকে সন্দেহ করছে না।’

তপন চন্দ্র ভাকালি আরও বলেন, ‘ঘটনার সাতদিন পরও বাড়ি ফিরে না যাওয়ায় এ জিডি করছে পরিবার। এর আগেও একইসঙ্গে দুই কিশোর বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। যদিও পরে তারা আবার বাড়ি ফিরে যায়। সেজন্য জিডি করতে দেরি করছে পরিবার। এ বিষয়ে আমরা খোঁজ নিচ্ছি। বাংলাদেশের সব থানায় দুজনের ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, তাদের খোঁজ আমরা পাব।’

নিখোঁজ জাহিদ গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা রায়েদ ইউনিয়নের বিবাদিয়া গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। জাহিদের নিখোঁজের জিডির বাদি তা মা। শরিফুল একই গ্রামের আলাল মিয়ার ছেলে। শরিফুলের নিখোঁজের জিডির বাদি তার বাবা। জাহিদ উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের দেওনা দাওয়াতুল হক মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। অন্যদিকে, শরিফুল ইসলাম শ্রীপুর উপজেলার একটি দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

কাপাশিয়া থানার উপপরিদর্শক তপন চন্দ্র ভাকালি জাহিদ ও শরিফুলের খোঁজ পেলে তাঁর সঙ্গে (০১৭১১৯৪২০৮২) যোগাযোগের অনুরোধ করেছেন।