গরমে চিন্তিত ঠাকুরগাঁওয়ের মিষ্টিকুমড়া চাষি

Looks like you've blocked notifications!
ইউএনবিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে নেওয়া ছবি

দাম ভালো। তারপরও চিন্তিত ঠাকুরগাঁওয়ের মিষ্টিকুমড়া কৃষকরা। কারণ, কয়েক দিন ধরে টানা চলতে থাকা তাপপ্রবাহ। উত্তরের কৃষি প্রধান এবং কৃষিতে স্বনির্ভর এই জেলায় তাই কৃষকের চোখে যেন ঘুম নেই।

ঠাকুরগাঁওয়ে সব ধরনের ফসল ও সবজির চাষ অনেক ভালো হয়। এ জেলার মিষ্টিকুমড়া আকারে বড় ও সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদা রয়েছে সারা দেশব্যাপী। তবে চলতি মৌসুমে তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে মিষ্টিকুমড়ার চাষ। দাম ভাল থাকলেও গাছের পাতা ও গাছ হলদে বর্ণ ধারণ করায় আশাতীত ফলন নিয়ে চিন্তায় পড়েছে কৃষকেরা। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রমতে, এ বছর জেলায় মোট তিন হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যার মধ্যে শুধু মিষ্টিকুমড়ার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমি। রবি জাতের মিষ্টি কুমড়ার আবাদ শেষে বর্তমানে খরিপ-১ জাতের মিষ্টি কুমড়ার আবাদ চলমান রয়েছে। গত বছরে এক হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে খরিপ-১ জাতের মিষ্টি কুমড়ার চাষ করা হয়েছিল। 

এ জেলায় প্রধানত দুই ধরনের মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়ে থাকে। এরমধ্যে রবি জাতের কুমড়া ইতোমধ্যে বাজারজাত হয়ে গেছে। বর্তমানে খরিপ-১ জাতের মিষ্টি কুমড়া খেতে রয়েছে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন কহরপাড়া এলাকার সফল চাষি ময়নুল ইসলাম জানান, গত মৌসুমের শুরুর দিকে ভাল ফলন ও দাম পাওয়ায় এ বছর মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন তিনি। এ মৌসুমে ৩০ একর জমিতে কুমড়া লাগিয়েছেন। এক মাসের মধ্যে মিষ্টিকুমড়া বিক্রি শুরু হবে। বর্তমানে বাজারে মণপ্রতি মিষ্টি কুমড়া ৭০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

সদর উপজেলার গড়েয়া এলাকার কৃষক মজিবর বলেন, ‘পাঁচ বিঘা জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছি। গাছে ফুল এসেছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার ফলে কিছু কিছু গাছ হলুদ বর্ণের হয়ে গেছে। কৃষি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য। আশা করছি, ফলন ভাল হলে ন্যায্য মূল্য পাব।’

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ জেলায় মিষ্টিকুমড়ার ভাল ফলন হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে খরিপ-১ জাতের মিষ্টিকুমড়ার আবাদ চলমান রয়েছে। বাজারে দামও ভাল রয়েছে। কৃষকদের মাঝে চলমান তাপদাহ নিয়ে সৃষ্ট নানা সমস্যা নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’