গাজীপুরে জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
গাজীপুরে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াত-শিবিরে নেতাকর্মীরসহ জব্দ করা সরঞ্জামাদি। ছবি : গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ

গাজীপুরে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের ২০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বেশকিছু ককটেল, লাঠিসোটা, চাঁদা আদায়ের রশিদ বই, ব্যানারসহ উগ্রপন্থি ও জিহাদি বই এবং বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) জানায়, মহানগরীর ভোগড়া বাসনসড়ক এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টিকালে তাদের আটক করা হয়। আজ মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে জিএমপির উপকমিশনার (অপরাধ-উত্তর) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান এ তথ্য জানান।

জিএমপির এই কর্মকর্তা জানান, গতকাল মহানগরীর বাসন থানাধীন ভোগড়া বাসনসড়ক এলাকায় রিয়াদ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিকের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে জামায়াতে ইসলাম ও ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা ককটেল ফাটিয়া জনমনে আতংক সৃষ্টির চেষ্টা করে। জামায়েতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমিরসহ গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীদের ইস্যুকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে অন্তর্ঘাত মূলক ঘটনা ঘটিয়ে নির্বাচিত সরকার পতন ঘটানোর লক্ষ্যে তারা এ ঘটনা ঘটায়। খবর পেয়ে জিএমপির বাসন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইসলামি ছাত্র শিবিরের ১৯ জন নেতাকর্মীকে সেখান থেকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি তাজা ককটেল, বেশ কয়েকটি বাঁশের লাঠি, ব্যানারসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নলজানীর গ্রেটওয়াল সিটি এলাকার আব্দুল আউয়ালের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জামায়াতনেতা মেহেদী হাসানকে (২৬) আটক করে। এ সময় মেহেদীর কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে জামায়াতে ইসলামীর গঠণতন্ত্রের বই, চাঁদা আদায়ের রশিদ বই ও ব্যক্তিগত রিপোর্ট বইসহ বেশ কিছু জিহাদি বই ও সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।

জিএমপির এই কর্মকর্তা আরও জানান, এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে। সেই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার জাময়ায়ত-শিবির নেতাকর্মীরা হলেন ফেনীর মোমারিজপুর এলাকার মেহেদী হাসান (২৬), ভোলা জেলার আমিরুল ইসলাম আফনান (১৮), জিন্নাহ (১৯) ও আতাউল্লাহ আফফান (১৮), গাজীপুর জেলার জায়েদ (১৯), মুজাহীদ হাসান (১৮), রকিব (১৬), নাঈম (১৬) ও খালেদ বিন হোসাইন (১৯), ময়মনসিংহ জেলার মেহেদী হাসান (১৯), আলী আজগর (১৬) ও ইয়াসির আরাফাত (১৮), নরসিংদীর মোবাশ্বির ইমাম (১৯), নেত্রকোনার রাজু খান (১৮), নোয়াখালীর মেহেদী হাসান (১৯), কুমিল্লার জাবায়ের হোসেন (১৮), যশোরের রাইসুল ইসলাম ওরফে মেহেদী (১৯), চট্টগ্রামের সাদেকুল ইসলাম (১৮), শরীয়তপুরের তাওহীদ (১৬) এবং লক্ষ্মীপুর জেলার মজিবুর রহমান (২৫)। তারা সবাই গাজীপুর ও আশপাশের এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন।