গাজীপুরে বেলুন বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : সংগৃহীত

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানার পুলিশ। আজ সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন  মো. বাবুল, মনিক ও কিবরিয়া। তারা বেলুন সরবরাহ, বেলুন আনা এবং বেলুনে গ্যাস ভর্তি করার সঙ্গে জড়িত।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত শনিবার রাত সোয়া ৯টায় গাজীপুর সদর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। উপপরিদর্শক (এসআই) মোসাব্বির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় পরস্পর যোগসাজশে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ক্ষতিকারক দাহ্য পদার্থ/গ্যাস সাপ্লাই করে জননিরাপত্তা বিপন্ন ও সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের গুরুতর আহত করার অপরাধ সংগঠনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন বাবুল, মানিক ও গোলাম কিবরিয়া। তারা সবাই ওই অনুষ্ঠানে বেলুন সরবরাহ করেছিল।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গাজীপুর মহানগর পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাদীর ডিউটি ছিল। ঘটনার দিন বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা উদ্বোধন ঘোষণার পর মূল মঞ্চে চলে যান। ৫টা ৪৫ মিনিটে বেলুনগুলো আকাশের দিকে না ওড়ে পুলিশ লাইনসের ভেতর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার সংলগ্ন পাকা রাস্তায় পড়ে। এ সময় আবু হেনা রনিসহ সেখানে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ কনস্টেবল জিল্লুর রহমান, মোশাররফ হোসেন, রুবেল মিয়া আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্য পুলিশের সহায়তায় অ্যাম্বুলেন্সযোগে চিকিৎসার জন্য তাদের গাজীপুর তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য আবু হেনা রনি ও কনস্টেবল জিল্লুর রহমানকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠায়। তারা বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন। অপর কনস্টেবল মোশাররফ হোসেন ও রুবেল মিয়া প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়ি চলে যান।

এজাহারে আরও বলা হয়, প্রাথমিকভাবে বিষয়টি তদন্ত করে জানা যায়, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বেলুন সাপ্লাইয়ের দায়িত্বে ছিলেন আসামি বাবুল, মানিক ও কিবরিয়া। তাদের সবার ঠিকানা অজ্ঞাত। বর্ণিত আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে জন নিরাপত্তা বিপন্ন হয় এমন হীন উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত স্থানে বেলুনের মধ্যে কৌশলে ক্ষতিকারক দাহ্য পদার্থ/গ্যাস ব্যবহার করে সাপ্লাই দেওয়ার কারণে সেই বেলুনগুলো বিস্ফোরিত হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে আবু হেনা রনিসহ দায়িত্বরত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী (পুলিশ কনস্টেবল) গুরুতর আহত হন।

মামলা দায়েরের পর মামলাটি গাজীপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহিউদ্দিন আহমেদ তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।