গাজীপুরে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অবহেলায় পানি বিষাক্ত হয়ে গেছে : মনজুর আহমেদ

Looks like you've blocked notifications!
গাজীপুরে পরিবেশ দূষণের চিত্র দেখছেন জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরীসহ অন্যরা। ছবি : এনটিভি

জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশের মূল দূষণকারী হচ্ছে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান। তাদের যে নিদারুণ অবহেলা সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। গাজীপুরের পানি বিষাক্ত হয়ে গেছে। এই জনপদ একটা বিষাক্ত জনপদে পরিণত হয়েছে। শিল্পায়নের যে মূল্য এটা স্থানীয় লোকেরা এখন দিচ্ছে। একসময় সারা দেশই দিবে। 

সোমবার বিকেলে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় মেঘনা নিট কম্পোজিট লিমিটেডের ইটিপি (পানি বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া) পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশের আয়ের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ এখান থেকে আসে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে কখনোই বলব না ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ করে দেওয়া হোক। আমরা শুধু এটাই বলবো যে, ম্যানেজমেন্ট চেঞ্জ করে দেন। অথবা আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তার করতে বলব। দোষ হচ্ছে যারা এটা পরিচালনা করে ম্যানেজাররা। তাদের প্রতি আহ্বান জানাতে চাই, আগামী প্রজন্মের কথা মনে রেখে আপনারা দূষণমুক্ত শিল্প গড়ে তুলুন। শ্রীপুরের পৌরসভার মেয়রের প্রতি আমাদের সতর্কতা।'

তিনি বলেন, ‘টিটু নামে একজন খালে ময়লা ফেলার মাধ্যমে ব্যবসা করছে। আরও একজন আছে। প্রশাসনকে বলব তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনকে দুই মাস সময় দিলাম, পরিবেশ দূষণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যব্যস্থা নেওয়ার জন্য।’

এর আগে তিনি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি ব্রিজের লবলং খালে গৃহস্থালী ও বিষাক্ত রাসায়নিক বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষণের চিত্র ঘুরে দেখেন।

মেঘনা নিট কম্পোজিট লিমিটেড আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে ইটিপির অংশবিশেষ বন্ধ পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুরের উপপরিচালক নয়ন মিয়া বলেন, এটা বায়োলজিক্যাল ইটিপি। আমরা এখানে এসে তাদের পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যানটা (পিএইচ) বন্ধ পেয়েছি। তারা (কারখানা কর্তৃপক্ষ) বলেছে পানির লেভেলটা বাড়লে তারা প্ল্যানটা চালু করে। এটা অনেক বেশি টেকনিক্যাল বিষয়। এখন আলোচনা করা যাবে না। 

পরিদর্শনকালে নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনিসুর রহমান, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুরের উপপরিচালক নয়ন মিয়াসহ কমিশনের এবং স্থানীয় প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা, নদী ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।