গায়েবি মামলা প্রত্যাহারে আইজিপিকে বিএনপির চিঠি

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি : সংগৃহীত

নতুন করে পুলিশের দায়ের করা ‘গায়েবি’ মামলাসমূহ প্রত্যাহারে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের কাছে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। 

এ সময় বিএনপির  মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত  চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলটি মামলার বিষয়াদি নিয়ে বৈঠক করেন।

ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর বরকত উল্লাহ বুলু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে যে গায়েবি মামলা হচ্ছে, প্রতিনিয়ত পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের লোকজন বোমা ফাটিয়ে আমাদের লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে, গ্রেপ্তার করছে, এর একটি স্মারকলিপি মহাসচিবের তরফ থেকে আমরা আইজিপিকে প্রদান করেছি।’

বরকত উল্লাহ বুলু আরও বলেন, ‘উনি (আইজিপি) আমাদের প্রতিনিধিদলের সবার বক্তব্য শুনেছেন। তিনি বলেছেন—এগুলো খতিয়ে দেখবেন।’

জানা গেছে, মির্জা ফখরুলের চিঠির সঙ্গে ১৬৯টি গায়েবি মামলায় তালিকা দেওয়া হয়েছে। গত ২২ আগস্ট থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত এসব মামলায় এজহারভুক্ত আসামির সংখ্যা ছয় হাজার ৭২৩ জন, অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা ১৫ হাজার ৫০ জন এবং ৫৫৯ জন গ্রেপ্তারের তালিকাও ছিল।  

বিএনপির প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন—যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এবং  আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

পুলিশ মহাপরিদর্শকের সঙ্গে বৈঠকে ডিএমপি কমিশনার ফারুক আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সমাবেশের বিষয় আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বুলু বলেন, ‘সমাবেশে নিয়ে উনারা কথা বলেছেন, আমরা বলিনি। আমরা বলেছি এটা (সমাবেশ) পল্টনে করতে চাই। সমাবেশের স্থানের বিষয়ে আমরা দুইটা চিঠি তাদেরকে দিয়েছি। একটি ১৩ নভেম্বর ও আরেকটি ২০ নভেম্বর। দুইটা চিঠিতে আমরা নয়াপল্টন চেয়েছি। আমরা কোনো দ্বিতীয় স্থান চাইনি।’

বুলু বলেন, ‘তারা বলেছেন, আপনারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করেন, আমরা সব সহযোগিতা করব। আমরা বলেছি, এটা আমাদের আজকে বিষয় না। আমরা যে বিষয়টি নিয়ে এসেছি তার সঙ্গে সমাবেশের স্থান নির্ধারণ সংশ্লিষ্ট না। এটা আমাদের স্থায়ী কমিটি, মহাসচিব আছেন, তারা সিদ্ধান্ত দেবেন। এটা আমাদের এখতিয়ারে নেই।’