গোপালগঞ্জে শিক্ষকের ধান লুটে নেওয়ার অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের ধান লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার নিজড়া ইউনিয়নের নারিকেলবাড়ী গ্রামে। অভিযোগের তীর স্বাস্থ্য সহকারী কামাল মিনা ও তাঁর লোকজনের দিকে। এ নিয়ে ওই শিক্ষক গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

নারিকেলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কানাই লাল বণিকের দায়ের করা অভিযোগসূত্রে জানা যায়, প্রায় একযুগ আগে একই গ্রামে ৩১ দশমিক দুই শতক জমি কেনেন তিনি। তখন থেকে ওই জমিতে চাষাবাদ করে আসছেন। সম্প্রতি জমির মালিক দেশে আসেন। বেশি দাম পেয়ে এলাকার প্রভাবশালী হিসেবে খ্যাত কামাল মিনার কাছে ওই জমি রেজিস্ট্রি দলিল করে দেন। যা শিক্ষক কানাই লাল বণিক পরে জানতে পারেন।

কিন্তু, ততোদিনে জমিতে ইরি ধানের আবাদ করে ফেলেছেন কানাই লাল। এবছর ফলনও বেশ ভালো হয়। ধান পাকার পর ধানকাটা শ্রমিক দিয়ে ধান কাটান। সেই ধান বাড়িতে আনতে গেলেই বাধে বিপত্তি। তিনি দেখতে পান কামাল মিনা, জনি মিনা, নুরু মিনা, ইকবাল মিনা ও পলাশ মিনা লুট করে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর ধান। শিক্ষক বাধা দিতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেন তাঁরা।

এ ছাড়া ওই শিক্ষকের অভিযোগে আরও জানা যায়, ৫ বছর ধরে শিক্ষকের একখণ্ড নাল জমি দখল করে রেখেছেন কামাল মিনা ও তাঁর লোকজন। দুই বছর আগে ওই নাল জমিতে পুকুর কাটতে যান কামালরা। যদিও জেলা পুলিশের হস্তক্ষেপে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

মুঠোফোনে জানতে চাইলে নিজড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী কামাল মিনা তাঁদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, গত পৌষ মাসে তিনি জমি কিনেছেন। সেসময় জমিতে কেবল ধান রোপণ হয়েছিল। যেহেতু জমির মালিক তিনি ও তাঁর লোকজন, তাই রোপিত ধানের বর্গা হিসেবে তিন ভাগের এক অংশের দাবিদার তাঁরা। তবে কোনো প্রকার লুটের ঘটনা ঘটেনি। ধানের জমিতেই ধান রয়েছে।

কামাল মিনা বলেন, ‘তাঁদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’