ঘুম থেকে তুলে ঢাবি ছাত্রকে মারধর, মাথায় সাত সেলাই
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে কয়েকজন জুনিয়র শিক্ষার্থী। স্টাম্পের আঘাতে মাথায় গুরুতর আঘাত পান ভুক্তভোগী সিনিয়র শিক্ষার্থী। পরে তার বিভাগের কয়েকজন ছাত্র তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে এ ঘটনা ঘটে। মারধরে আহত ওই শিক্ষার্থী হলেন থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের আখলাকুজ্জামান অনিক। তিনি হলের পদ্মা ব্লকের ২০১০ নম্বর কক্ষে থাকেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, হামলায় ১০ থেকে ১২ জন অংশ নেয়। এদের মধ্যে তিনি চারজনকে চিনতে পেরেছেন। তারা হলেন- সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের মাসফিউর রহমান, অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের সফিউল্লাহ সুমন (পিটার), ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাব্বির আল হাসান, সাংবাদিকতা বিভাগের নাইমুর রশিদ নাঈম। পরের তিনজন ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। হামলাকারীরা হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিবুর রহমান সজীবের অনুসারী।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমি রুমে ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ দরজা খোলার জন্য বাইরে থেকে নক করা হয়। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই তারা আমার ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে তারা আমার মাথায় স্ট্যাম্প দিয়ে আঘাত করে। এতে আমার মাথা ফেটে যায়। এছাড়া এলোপাতাড়ি মারধরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। মারধরের পর বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসি। আমার মাথায় সাতটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় সেমিস্টারের অভিনয় কোর্সের পরীক্ষা আছে।
হামলার কারণ জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, তিনদিন আগে হামলাকারীদের মধ্যে কেউ একজন মেয়ে নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়েছিল। তাদের অভিযোগ, আমি নাকি তাদের সাথে সেখানে দুর্ব্যবহার করেছি। অথচ সেই দিন আমার পরীক্ষা ছিল। হামলার সময় তারা আমার ফোন কেড়ে নেয়। এদের হামলায় আজকে হয়তো আমি মরেই যেতাম।
অভিযোগের বিষয়ে মাশফিউর রহমান বলেন, অনিক আমার বিষয়ে ভুল বলেছেন। আমি ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানি না।
অনিক ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা যায়। অন্যদিকে হামলার ঘটনায় জড়িতরাও সবাই হল ছাত্রলীগের সভাপতি সজিবুর রহমান সজীবের অনুসারী। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে হল প্রশাসন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবে। এক্ষেত্রে আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে।
হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। দায়িত্বরত শিক্ষককে সেখানে পাঠানো হয়েছে। আমরা রোববার সকালে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।