ঘূর্ণিঝড় মোখায় কক্সবাজারে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

Looks like you've blocked notifications!
প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে কক্সবাজারে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। ছবি : এনটিভি

প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে কক্সবাজারে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফের সেন্টামার্টিনেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১২০০ ঘরবাড়ি। তবে কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সেন্টমার্টিন, টেকনাফ সদর, পৌর এলাকা, সাবরাং, ডেইলপাড়া, জাদিমুড়া এলাকায় প্রচুর গাছপালা ভেঙে পড়েছে। উড়ে গেছে ঘরের চালা। বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে সড়ক থেকে গাছ সরাতে দেখা যায়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফের সেন্টামার্টিনেই ক্ষতি হয়েছে ১২০০ ঘরবাড়ি। তবে কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। আরও কোথায় কোথায় কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা পরবর্তিতে চূড়ান্তভাবে জানানো হবে। মোখার তাণ্ডব রাতেই থেমে গেছে। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা আড়াই লাখ মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রচণ্ড গতির বাতাস নিয়ে রবিবার (১৪ মে) বিকাল ৩টার দিকে কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। তবে সন্ধ্যার আগেই এর প্রভাব কমে যায়।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান বলেন, ঝড়ে ইতোমধ্যে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া গেছে। কিছু এলাকায় গাছগাছালি ও ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে।

সেন্টমার্টিনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, রোববার সন্ধ্যা থেকে সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতি কমে গেছে। অনেক ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। কয়েকজন আহত হয়েছে।

কক্সবাজার শহর, সদর উপজেলা, মহেশখালী উপজেলা, কুতুবদিয়া উপজেলা ও রামু উপজেলায় মোখা আঘাত হেনেছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।