চট্টগ্রামে তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে দুই সহোদর খুন

Looks like you've blocked notifications!
মৃতদেহের ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় গরুর ক্ষেতের সবজি খাওয়া নিয়ে দুই দফায় মারামারি ও ছুরিকাঘাতে দুই সহোদরকে খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন চার জন। তাদের মধ্যে ইদ্রিস (৫০) নামে এক ব্যক্তির অবস্থা আশংকাজনক।

গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের উত্তর পদুয়া পশ্চিম কুরুশিয়া ৬নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন উত্তর পদুয়া পশ্চিম কুরুশিয়া এলাকার কৃষক জহির আহমদের বড় ছেলে মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন (২০) ও ছোট ছেলে মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন (১৮)।

আহতরা হলেন- নিহতদের ফুপা মুহাম্মদ ইদ্রিস, ফুফাতো ভাই মুহাম্মদ বাদশা ও সালাউদ্দিন এবং পাশ্ববর্তী বাড়ির মুহাম্মদ নুরুল কবিরের ছেলে রানা।

এ বিষয়ে নিহতদের বাবা জহির আহমদ বলেন, ‘আমার বড় ছেলে বাড়ির পাশে একটি সবজি বাগান করে। সেখানে সকালে গিয়ে দেখে পাশের বাড়ির শফির গরু ক্ষেতের ফসল খাচ্ছে। এ বিষয়ে শিবছড়ি নামক স্থানে শফির সাথে কথাকাটাকাটি হওয়ার পর তার ছেলে সাইফুল ও খোরশেদের সাথে মারামারি হয়। সেখানে আমার ছেলের আঘাতে শফি সামান্য আহত হলে ছেলের মা সুলতানা বেগম তাকে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে পাঠিয়ে দেন। এ ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু বিকেল ৪টার দিকে মাওলানা ইসমাইলের বাড়ির পাশে শফি ও তার ছেলে সাইফুল, খোরশেদ ও মোরশেদ আমার ছেলেদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। সেখানে শফির ছেলে মোরশেদ পাশের বাড়ির টিইন্নে চৌকিদারের ছেলে নুরুল আজিমের কাছ থেকে ছুরি নিয়ে এসে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে। হামলার সময় আমার ভায়রা ও তার ছেলেরা প্রতিরোধ করতে গেলে তাদেরকেও আঘাত করে।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আবছার বলেন, ‘গরুর ক্ষেতের সবজি খাওয়া নিয়ে সকালে একবার মারামারি হয়। পরে বিকেল ৪টার দিকে জালাল উদ্দিন ও তার ভাই কামাল উদ্দিনকে শফি ও তার ছেলেরা ছুরি দিয়ে আঘাত করে এবং এ ঘটনা দেখে এগিয়ে আসা তাদের ফুপা ও ফুপাতো ভাইদেরকেও আঘাত করে। পরে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।’ 

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, ‘বিকেলে ছয় জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে জালাল উদ্দিন ও কামাল উদ্দিন নামের দুজন হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা যান। আহত চার জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে ইদ্রিস নামের এক ব্যক্তির অবস্থা আশংকাজনক।’

এ বিষয়ে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় শফি ও তার ছেলে খোরশেদকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে।’